বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৭, ০৫:৫৩:২২

একটি চিঠিতেই আরামের ঘুম হারাম হয়ে গেছে রাজধানী ঢাকার ১৫ লাখ মানুষের

একটি চিঠিতেই আরামের ঘুম হারাম হয়ে গেছে রাজধানী ঢাকার ১৫ লাখ মানুষের

নিউজ ডেস্ক: ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে আসা একটি চিঠিতেই রীতিমত রাতের আরামের ঘুম হারাম হয়ে গেছে নগরীর ১৫ লাখ মানুষের।  এর কারণ ভেঙে ফেলতে হবে শত শত আবাসিক, বাণিজ্যিক ও বহুতল ভবন! রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) থেকে নকশা অনুমোদন করিয়ে ১৯৯১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত যারা ১০তলা, ১২তলা, এমনকি ১৫তলা আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন গড়ে তুলেছিলেন, তারা এখন দুই চোখে অন্ধকার দেখছেন।  আর যারা নিজেরা অনেক কষ্ট করে ব্যাংক ঋণ নিয়ে নিজের জমির ওপর বাড়ি নির্মাণ করে ফ্ল্যাট হিসেবে বিক্রি করেছেন, তাদেরও ঘুম হারাম হয়ে গেছে।

কারণ এসব স্থাপনা ঘিরে ব্যাংক থেকে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে।  আর ভূমি মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে হঠাৎ করে এসব বাড়িঘর ও বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট, স্থাপনার খাজনা এবং নামজারি বন্ধ করে দেওয়ায় ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।  ফলে নগরীর ১৫ লাখ মানুষের মধ্যে চাপা অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক একটি চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে জমির খাজনা দিতে পারছেন না নগরীর বাসিন্দারা।  সিএস থেকে মহানগর ভূমি রেকর্ড, দখল, দলিল-পর্চা সবকিছু থাকার পরও নামজারিতে আপত্তি তোলা হচ্ছে।  এসব এলাকার লোকজন রাজউক থেকে বাড়ির নকশা পাস করতে পারছেন না।  জরুরি প্রয়োজনের সময় জমিজমাও বিক্রি করতে পারছেন না তারা।  কঠিন এক সময় অতিক্রম করছেন এসব এলাকার লোকজন।

ঢাকা জেলা প্রশাসন সূত্রমতে, ২০১৩ সালে ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তা শামীম বানু শান্তি স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে সংশ্লিষ্ট এসি ল্যান্ড ও তহসিল অফিসকে এসব এলাকার জমিজমার খাজনা এবং নামজারি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।  এতে উল্লেখ করা হয়, ২০০০ সালের ১২ মার্চ ১১৭ স্মারকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পরিপত্রে ‘এসব এলাকার জমির খাজনা এবং নাম জারির বিষয়ে আপত্তি করা হয়েছে।  এ কারণে উক্ত এলাকার অধিগ্রহণকৃত জমির অবমুক্তকরণ গেজেট প্রকাশ না করা পর্যন্ত খাজনা কিংবা নামজারি কার্যক্রম করা যাবে না।

রাজউকের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ১৩৮ নম্বর এলএ কেসের প্রত্যাশী সংস্থা তৎকালীন ডিআইটি (ঢাকা ইম্প্রুভমেন্ট ট্রাস্ট) থেকে কখনো দাবি করা হয়নি অধিগ্রহণকৃত ১৩৮৫ একর জমি তাদের।  বরং পূর্ত মন্ত্রণালয় ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ঢাকার ডিসি অফিস থেকে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে ১৩৮৫ একর জমির মধ্যে ১২২৩ একর জমি অবমুক্ত করা হয়।  মূলত জমির মালিকদের জানানোর জন্যই তা করা হয়েছিল।বিডি প্রতিদিন
২৭ এপ্রিল ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এপি/ডিসি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে