স্পোর্টস ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিরীহ মানুষ হত্যা করা সবচেয়ে বড় অপরাধ। যারা নিরীহ মানুষ হত্যা করে তারা জান্নাতে নয় জাহান্নামে যায়। কারণ ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম। এখানে ভুল পথে মানুষকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইসলামকে হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বুধবার গণভবনে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলা প্রসঙ্গে ঢাকা বিভাগের জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের সময় তিনি এ কথা বলেন।
জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে পৃথিবীতে সবচেয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ বাংলাদেশই নিয়েছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাপী একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে। এটা হচ্ছে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের উত্থান। বাংলাদেশে যদিও আমরা, আমার মনে হয় পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা যে কোনোভাবে এটা দমন করে মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো। সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্স। জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সজাগ থাকতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় বড় ধরনের জঙ্গিবাদ থেকে রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশের জনগণ। যেটা পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশ পারেনি, বাংলাদেশ তা করে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদেরকে এখানে থেমে থাকলে হবে না। আমাদেরকে আরও বেশি সক্রিয় হতে হবে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাসংস্থা-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।
তিনি বলেন, মসজিদের ইমামদের আহ্বান জানাবো, ইসলাম যে শান্তির ধর্ম, ইসলামে জঙ্গিবাদ নাই এই বিষয়টি তুলে ধরতে হবে।
স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা কোথায় যাচ্ছে, কী করছে, কে অহেতুক অনুপস্থিত দীর্ঘদিন সেসব বিষয়গুলো তদারকি করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে সন্তান কোথায় যায়, কার সঙ্গে মেশে, কী করে সেটা দেখতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তাদেরকে বোঝাতে হবে। তারা যেন ধ্বংসাত্মক ও আত্মঘাতী পথে না যায়, সে জন্য সজাগ থাকতে হবে।
বাংলাদেশে শিক্ষিত বিশেষ করে ধনী পরিবারের সন্তানরা কেন বিপথে চলে যাচ্ছে-সেটার কারণ খুঁজে বের করতে চান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তাদের যাদের মেধা, তাদের শক্তি, তাদের মনন, কাজ করার ক্ষমতা দেশের ভাল কাজে লাগতে পারতো, সেটা ধ্বংসাত্মক কাজে কেন যাবে?’।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/এম.জে