শুক্রবার, ০২ জুন, ২০১৭, ০১:১০:৫৭

এমনটি অতীতে আর কখনো দেখেননি রাষ্ট্রপতি

এমনটি অতীতে আর কখনো দেখেননি রাষ্ট্রপতি

নিউজ ডেস্ক : দীর্ঘ ৭৪ বছরের জীবনে অভিজ্ঞতা অনেক। কিন্তু এবার হাওরে যে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে, তেমনটি আর অতীতে কখনো দেখেননি। এবার আগাম বন্যা হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ধানের পাশাপাশি মরেছে মাছ ও গবাদি পশু। যে কারণে হাওরাঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা বিপন্ন। ওই বিপন্ন মানুষগুলোকে দেখতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা দুইটায় পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সংসদ ভবনের সাংবাদিক লাউঞ্জে আসেন রাষ্ট্রপতি। স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে প্রায় ২০ মিনিট খোশগল্প করেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। এর বেশির ভাগ সময় আলাপ হয়, হাওরের বন্যা নিয়ে। খুব সহজ-সরল ভাষায় হাওর পরিস্থিতি বর্ণনা করেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আগে বন্যা হয়েছে ধান পাকলে বা পাকার মুহূর্তে। এতে বন্যার পরেও ধান কাটতে পেরেছে। কৃষকরা কিছুটা হলেও ফসল পেয়েছে। কিন্তু এবার বন্যা হয়েছে ধানের ফলন আসার মুহূর্তে। ফলে কোনো ধান পাইনি কৃষক। আর নরম ধানের পাতা দ্রুত পচেছে। পচা ধানের গাছ জমিতে দেয়া সার ও কীটনাশকের সঙ্গে মিশে পানি নষ্ট হয়েছে। এতে মাছ ও গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। মানুষের জীবনে সংকট বেড়েছে। আলোচনাকালে পরিবেশের উপর মানুষের আক্রমণে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রেসিডেন্ট বলেন, অবাধে গাছ কাটা ও পাথর উত্তোলন চলছে। এতে নদীতে পলির পরিমাণ বাড়ছে। ফলে নদীর তলদেশ ভরাট হচ্ছে। ফলে নদীর পানি ধারণক্ষমতা কমছে। এই অবস্থায় নদী উপচে বন্যা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, নদীর বাঁধ উঁচু করে লাভ হবে না। নদীর নাব্যতা বাড়াতে হবে। পাহাড় থেকে সাগরের সঙ্গে নদীর প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। এ সময় প্রেসিডেন্ট সংসদ বিটের সাংবাদিদের নাম ধরে ধরে কে কেমন আছে, সেই খোঁজ-খবর নেন। সড়ক দুর্ঘটনার শিকার সাংবাদিক কালের কণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার নিখিল ভদ্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাছে জানতে চান কোন সমস্যা আছে কিনা? শরীর ভারি হচ্ছে উল্লেখ করে নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করার পরামর্শ দেন তিনি।

সাংবাদিক লাউঞ্জে কাজ করতে সমস্যা আছে কিনা তাও জানতে চান। আড্ডার একপর্যায়ে রাষ্ট্রপতি নিজের বয়সের কথা উল্লেখ করেন। কতদিন বাঁচবেন তা নিয়ে কথা বলেন। একপর্যায়ে সিনিয়র সাংবাদিক ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মোস্তাক হোসেনকে বয়সের কথা জানতে চান।

মোস্তাক হোসেন ৫৯ বছর বললে অট্টহাসি দিয়ে তিনি বলেন, একজন ব্যাংকে টাকা তুলতে গেছেন। দেখেন পাশের লোক চেকে ৫ লাখ টাকা লিখে শেষে লিখেছেন মাত্র। পরে তিনি ৫০০ টাকা তুলবেন। তিনি লিখলেন ৫০০ টাকা কিছুই না। মোস্তাক সাহেবের অবস্থা দেখি তাই।
২ জুন, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে