সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৫, ১২:৫৫:০০

তাভেল্লা হত্যায় আটক দুই বিএনপিকর্মীর পরিবার যা বলল

 তাভেল্লা হত্যায় আটক দুই বিএনপিকর্মীর পরিবার যা বলল

ঢাকা : ইতালির নাগরিক তাভেল্লা হত্যার ঘটনায় চার ব্যক্তিকে আটক দেখিয়েছে ডিবি পুলিশ। এই চারজন হলেন- রাসেল ওরফে ভাগনে রাসেল, রুবেল ওরফে শুটার রুবেল, রাসেল ওরফে চাকতি রাসেল ও শরীফ। রোব্বার ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয় বলে দাবি করেছেন ডিবি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মুনিরুল ইসলাম। এছাড়া তাভেল্লা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও জব্দ করা হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। এদিকে আটক চারজনের মধ্যে বিএনপিকর্মী রাসেল ও রুবেলকে কয়েকদিন আগেই আটক করা হয়েছিল বলে দাবি তাদের স্বজনদের। বাকি দুজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দক্ষিণ বাড্ডার ব-৮৯ বাসার বাসিন্দা শাহজাহান চৌধুরীর ছেলে রাসেল বিএনপির কর্মী। তার স্বজনদের দাবি গত ১০ অক্টোবার থেকে রাসেল নিখোঁজ। রাসেলের মা আফরোজা আক্তার আভা জানান, তার স্বামী শাহজাহান চৌধুরী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। রাসেল আগে বিদ্যুৎ বিভাগে ঠিকাদারি করতেন, বর্তমানে বেকার। আফরোজা আক্তার দাবি করে বলেন, “১০ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে একদল লোক এসে রাসেলকে তুলে নিয়ে যায়। ওই সময় তারা রাসেলের কাছে জানতে চায়, ‘তোর পরনের জিন্সের প্যান্ট, স্ট্রাইপ গেঞ্জি ও কালো শার্ট কই?’' ওই ব্যক্তিরা রাসেল কী করে জানতে চায়। পরে ‘পুলিশ’ আলমারি খুলে তল্লাশি চালায়। একপর্যায়ে তারা রাসেলের দুই হাতে হাতকড়া লাগিয়ে দেয়। একজন জিজ্ঞেস করে, ‘তুই কোন দল করিস, ছাত্রদল, না যুবদল?’ পরে সাদা কাগজে কিছু একটা লিখলেও তা কাউকে পড়তে দেওয়া হয়নি। ওই কাগজে রাসেলের বাবার স্বাক্ষর ও তার মোবাইল ফোন নম্বর নেয়।” রাসেলের বাবা শাহজাহান চৌধুরী বলেন, “ধরে নেওয়ার সময় তারা বলে যায়, ও যদি অপরাধী না হয়, তাহলে ছেড়ে দেওয়া হবে। অপরাধী হলে কোর্টে দেওয়া হবে। এত দিন হয়ে গেল এখনো কিছুই হয়নি। আমার ছেলে কোথায়, কিভাবে আছে তা নিয়ে ভয়ে আছি।” আটক রুবেলও বিএনপিকর্মী। তিনি মধ্য বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় তার মামা তৌহিদ মিয়ার বাসায় থাকেন। রুবেলের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের বাগলি এলাকায়। তার বাবার নাম হারিস মোল্লা। রুবেল গত ১৯ অক্টোবার থেকে নিখোঁজ। গত বুধবার সন্ধ্যায় তার মামা তৌহিদ মিয়া বাড্ডা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তিনি বলেন, “আমার ভাগিনা কোনো খারাপ কাজে জড়িত তা শুনি নাই। সে মোবাইল ও ইলেকট্রিক সামগ্রী মেরামতের কাজ করত। গত সোমবার থেকে ওরে পাই না। অনেক খুঁজছি। পরে দেখি পেপার-পত্রিকায় নাম। তবে পুলিশ তো আটকের কথা স্বীকার করে না।” উল্লেখ্যগত ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশানের ৯০ নম্বর সড়কে তাভেল্লাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুই যুবক তাভেল্লাকে গুলি করে কাছেই অপেক্ষমাণ একজনের মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। ২৬ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে