সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৫, ০১:০৭:৫১

শেরে বাংলার ১৪২তম জন্মবার্ষিকী আজ

   শেরে বাংলার ১৪২তম জন্মবার্ষিকী আজ

নিউজ ডেস্ক : অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের ১৪২তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৮৭৩ সালের এই দিনে ঝালকাঠি-পিরোজপুর বরিশাল জেলার রাজাপুর থানার সাতুরিয়া গ্রামে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক। তার বাবা কাজী মুহম্মদ ওয়াজেদ আলী একজন প্রখ্যাত আইনজীবী ছিলেন। তার মায়ের নাম বেগম সৈয়দুন্নেছা। তার জন্মের পর প্রায় দেড়শ বছর কেটে গেলেও অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে শেরে বাংলার জন্মভবনটি। জন্মস্থানে তার বহু জন্মস্মৃতি থাকলেও তা এখন বিলুপ্তপ্রায়। শেরে বাংলার ব্যবহৃত নানা আসবাবপত্রও খোয়া গেছে সংরক্ষণের অভাবে। শৈশবের বেশির ভাগ সময় তিনি মামা বাড়িতে কাটিয়েছেন। এখানে ঘাট বাঁধানো পুকুরে গোসল করা, পাশের নদীতে সাঁতার কাটা, গাছ থেকে বাদাম পেড়ে খাওয়াসহ অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই বাড়িতে। তবে তার জন্মস্থান সাতুরিয়ায় মিয়া বাড়ির সেই আঁতুড়ঘর ও দালান এখন সংস্কারবিহীন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। অনেক জিনিসপত্র চুরি হয়ে গেছে। এমনকি তার প্রতিষ্ঠিত সাতুরিয়া এম এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়টিরও বেহাল দশা। বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে বাঙালি কূটনীতিক হিসেবে বেশ পরিচিত ছিলেন ফজলুল হক। রাজনৈতিক মহল এবং সাধারণ মানুষের নিকট শের-এ-বাংলা (বাংলার বাঘ) এবং ‘হক সাহেব’ নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি রাজনৈতিক অনেক পদে অধিষ্ঠান করেছেন, সেগুলোর মধ্যে কলকাতার মেয়র (১৯৩৫), অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী (১৯৩৭-১৯৪৩), পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী (১৯৫৪), পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী (১৯৫৫), পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর (১৯৫৬-১৯৫৮) অন্যতম। যুক্তফ্রন্ট গঠনে প্রধান নেতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। ১৯৫৮ সালের ২৭ অক্টোবর ফজলুল হককে পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদক “হেলাল-ই-পাকিস্তান” খেতাব দেওয়া হয়। ১৯৬১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকবৃন্দ তাকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করে এবং তাকে হলের আজীবন সদস্য পদ প্রদান করা হয়। তিনি নিপীড়িত মানুষকে জমিদারদের করাল গ্রাস থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি অবৈতনিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেন। যার ফলে বাঙালি জাতি শিক্ষার আলো দেখতে পেয়েছে। ২৬ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে