আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামালকে গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।
তাদের দাবি, সুলতানা কামাল নাকি টক শোতে বলেছেন, ‘ভাস্কর্য থাকতে না দিলে মসজিদ থাকতে দেয়া হবে না।’ সুলতানা কামালের এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হেফাজত নেতারা সুলতানা কামালকে গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন। না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হেফাজত নেতারা।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে এক বিক্ষোভ সমাবেশে হেফাজত এই দাবি জানায়। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ভাস্কর্য পুনঃস্থাপনের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ করে হেফাজত। এ সময় হেফাজত নেতারা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে মূর্তি (ভাস্কর্য) সরানোর দাবিতে প্রয়োজনে আদালত ঘেরাও করার হুমকি দিয়েছেন। তারা আল্লামা শফীর ডাকের অপেক্ষায় আছেন বলেও জানান।
ঢাকা মহানগর হেফাজতে ইসলামের আমির মাওলানা নূর হোছাইন কাসেমী বলেন, ‘গ্রিক দেবী অপসারণের কারণে আমার গত শুক্রবার ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম প্রধানমন্ত্রীকে। কিন্তু অত্যন্ত বেদনার সঙ্গে আজ আমাদের প্রতিবাদ সমাবেশে সমবেত হতে হয়েছে। মূর্তি অপসারণের পর আবার প্রতিস্থাপন তামাশা, এছাড়া আর কিছু নয়।’
হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব বলেন, ‘সুলতানা কামাল বলেছেন, ভাস্কর্য না থাকলে মসজিদও থাকবে না। এ ধরনের বক্তব্য দেওয়ার পর আমরা প্রশাসনকে বলেছি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে অথবা তাকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিতে হবে। সাহস কত সুলতানা কামালের! তিনি বলেছেন, ভাস্কর্য থাকতে না দিলে মসজিদ থাকতে দেওয়া হবে না। সুলতানা কামাল রাজপথে নেমে দেখুন, হাড্ডি-মাংস রাখা হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই, বদরের যুদ্ধ কিন্তু রমজান মাসে হয়েছে। মক্কায় যত মূর্তি সরানো হয়েছে, সেটা রমজান মাসেই সরানোর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি মূর্তি কি এখান থেকে সরাবেন? নাকি আমরা আসব? যদি আমাদের আসতে হয়, বাংলাদেশে পূজা মণ্ডপ ছাড়া আর কোথাও মূর্তি রাখা হবে না। প্রশাসন ও সরকারকে বলতে চাই, আমরা যে আসতে পারি, আপনাদের নিশ্চয় তা জানা আছে। ২৪ ঘণ্টায় কোটি মানুষ ঘেরাও করবে হাই কোর্ট। মেহেরববানি করে আমাদের আসতে বাধ্য করবেন না। আমরা যে দিন আসব, পুলিশ ঠেকাতে পারবে না। আমরা যে দিন আসব, কাফনের কাপড় হাতে নিয়ে আসব।’
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন হেফাজত নেতা মুফতি মাহফুজুল হক, জুনায়েদ আল হাবিব, মুজিবুর রহমান পেশওয়ারী, মামুনুল হক, গোলাম মুহিউদ্দীন ইকরাম, আতাউল্লাহ আমিন প্রমুখ।
২ জুন, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএস