মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১২:৩৭:২১

‘অবশেষে ভ্যাট প্রত্যাহার, সরকারের শুভবুদ্ধি’

‘অবশেষে ভ্যাট প্রত্যাহার, সরকারের শুভবুদ্ধি’

রোবায়েত ফেরদৌস : 'মন পাবি, দেহ পাবি, মগার ভ্যাট পাবি না'- এটি একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস। ছবিতে দেখা যাচ্ছে এই স্ট্যাটাস দিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী প্লাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে আছেন; আপাত অরুচিকর মনে হলেও মেয়েটি এই স্ট্যাটাসের অসাধারণ ব্যাখ্যা দিয়েছে; তার বক্তব্য : 'যদি সরকার আমাদের কথা মেনে ভ্যাট প্রত্যাহার করে নেয়, তাহলে আমরা সরকারের ওপর বেজায় খুশি হব (অর্থাৎ মন পাবি), আর যদি পুলিশ আমাদের গুলি করে তাও আমরা তৈরি (অর্থাৎ দেহ পাবি)। ব্যাখ্যাটি আমার কাছে দারুণ ক্রিয়েটিভ মনে হয়েছে। মেয়েটিকে ধন্যবাদ। 'নো ভ্যাট অন এডুকেশন', 'আমার বাবা এটিএম বুথ না', 'নো ভ্যাট, গুলি কর', 'কিল মি, নো ভ্যাট'- এরকম সৃজনশীল স্লোগান যারা বানাতে পারে, আমার প্রতীতি, তাদের দাবি-আন্দোলন যৌক্তিক পরিণতির দিকে না গিয়ে পারে না। এ লেখায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর সরকার আরোপিত সাড়ে ৭ ভাগ ভ্যাট, তথাকথিত ট্রাস্টি-মালিকদের মুনাফা-মানসিকতা এবং সর্বোপরি শিক্ষার প্রতি রাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করব।

এক. দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের মোট ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থীই এখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। ৮৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছে আট লাখ শিক্ষার্থী। এ এক নতুন বাস্তবতা, একে অস্বীকার করার জো নেই। সরকারের ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্তে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে এই আট লাখ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ। অর্থমন্ত্রী যে ভুলটা করছেন, তা হলো এই বিশালসংখ্যক শিক্ষার্থী মোটেও পয়সাওয়ালা পরিবার থেকে আসেনি। এর বড় একটা অংশ এসেছে নিতান্তই সাধারণ মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে। বাগানের মালি বা অফিসের ক্লিনারের ছেলেমেয়েদেরও আমি শিক্ষার্থী হিসেবে দেখেছি। অনেক শিক্ষার্থীই আছে, যারা পড়ালেখার পাশাপাশি টিউশনি করে। অনেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিনির্ভর হওয়ায় 'আউটসোর্সিং' করে টাকা উপার্জন করছে। ধানমন্ডি কিংবা গুলশান, বনানী কিংবা উত্তরায় বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে দেখবেন স্মার্ট ছেলেমেয়েরা 'পার্টটাইম' কাজ করছে। খোঁজ নিয়ে দেখুন, তাদের বেশির ভাগই প্রাইভেট ভার্সিটির স্টুডেন্ট।

প্রশ্ন হচ্ছে, এভাবে কষ্ট করে যারা টিউশন ফি জোগাড় করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছে, সরকারকে কি এদের কাছ থেকেও ভ্যাট নিতে হবে? যে দেশের বাজেট তিন লাখ কোটি টাকা- যেখানে এক হলমার্কই সোনালী ব্যাংক থেকে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা লাপাত্তা করে দিয়েছে, সেখানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এই সামান্য কটি টাকা নেওয়া কি অনিবার্য ছিল? শিক্ষার্থীদের ভ্যাট থেকে বছরে প্রায় ৫০ কোটি টাকা আয় হবে; এটি কি এড়ানো যেত না? কিংবা অন্য কোনো খাত থেকে আদায় করা যেত না? শিক্ষার ওপর কেন ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে তার নৈতিক ও যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। তাই ভ্যাট বিষয়ে 'সেকেন্ড থট' দিয়েছে এবং ভ্যাট প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

দুই. কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম, সেশনজট, রাজনৈতিক হানাহানি, চাকরির বাজার, সর্বোপরি অস্থিতিকর পরিস্থিতি থাকে। তাই শিক্ষা সমাপ্তির সময়, চাকরি, শিক্ষার পরিবেশ ও দ্রুত পাস করে বের হওয়ার নিশ্চয়তায় অনেক শিক্ষার্থীই বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা একরকম বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ পায়। বিপরীতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেরা বা তাদের অভিভাবকরা শিক্ষার ব্যয়ভার বহন করেন। প্রশ্ন হচ্ছে, যারা টাকা দিয়ে পড়ছে, তাদের ওপর ভ্যাটের নামে আরও বাড়তি টাকার চাপ দেওয়া কি যৌক্তিক হচ্ছে? বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করলেই কি অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে? তারা তো সরকার নির্ধারিত কারিকুলাম মেনেই শিক্ষা নিচ্ছে, তাহলে কেন তাদের আলাদাভাবে ট্রিট করা হলো? এটা বৈষম্যমূলক, সংবিধানবিরোধী, এর অবসান হওয়া দরকার।

তিন. সংসদের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষার্থীরা নয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভ্যাট দেবে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ঘোষণা আসার পর নিশ্চয়ই সারা দেশে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেমে যাওয়ার কথা ছিল; কিন্তু সেটা হয়নি। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় উদ্যোক্তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে গুলশান ক্লাবে বৈঠক করার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, শিক্ষার্থীরা সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট দেবে না, এটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দেবে। একই সঙ্গে তারা সরকারকে ভ্যাট প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু আমার একটি প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের থেকে প্রাপ্ত টাকা ছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থপ্রাপ্তির আর তো কোনো পথ নেই। কাজেই ভ্যাট বিশ্ববিদ্যালয় দিলেও শেষ বিচারে তা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেই আদায় করা হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এত বোকারাম ভাবার কোনো কারণ নেই! যে কারণে তাদের ভ্যাটবিরোধী দাবি-আন্দোলন চলেছে এবং তা আরও বেগবান হয়েছে!

চার. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চালায় 'কতিপয় ট্রাস্টি', যারা প্রতিষ্ঠানটির 'তথাকথিত মালিক' হিসেবে পরিচিত। বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় চলে তাদের কর্তৃত্বেই। ভ্যাট প্রত্যাহারের আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে দেখছি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তাদের সংগঠন খুব 'অ্যাকটিভ' হয়েছে। তারা সরকারের সঙ্গে ভ্যাট প্রত্যাহারের জন্য দেন-দরবার করছেন; নিজেদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। আর গণমাধ্যমকে বলছেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যে আইনে তৈরি হয়েছে সে মোতাবেক প্রাইভেট ভার্সিটি 'অলাভজনক' প্রতিষ্ঠান। কিন্তু কথা হলো, এতদিন তো তাদের কেউ কেউ বিশ্ববিদ্যালয় চালিয়ে আসছে 'বিজনেস বা মুনাফার' মানসিকতায়। তাই সন্দেহ হচ্ছে ভ্যাট-সংক্রান্ত সমস্যার সুরাহা হওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের 'মহান মালিকরা' টেকনিক্যালি সেটা শিক্ষার্থীদের টিউশন ফির সঙ্গে জুড়ে দেন কিনা!

পাঁচ. শিক্ষা কোনো 'পণ্য' নয়! তাই নৈতিকভাবে শিক্ষার ওপর ভ্যাট সমর্থনযোগ্য নয়। সরকারের বোঝা উচিত, ২০১০ সালে প্রণীত 'বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন'-এ স্পষ্ট বলা আছে, এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হবে অলাভজনক। যদিও প্রতিষ্ঠার পর বিশ্ববিদ্যালয় মালিকদের বেশির ভাগই অলাভজনক শব্দটি বেমালুম ভুলে যান। তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের তোয়াক্কা করেন না। কারণ রাজনৈতিক প্রভাব, প্রতিপত্তি আর নানা রকমের কোটায় প্রভাবশালীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিক বনে যান। তাই প্রাইভেট ভার্সিটি প্রতিষ্ঠার পর মালিকরা উচ্চশিক্ষাকে আর ১০টি প্রতিষ্ঠানের মতো লাভজনক প্রতিষ্ঠানের মতোই পরিচালনা করেন।

এখানে সরকারের কঠোর মনিটরিং থাকা দরকার এবং পাশাপাশি বলব কোনো অজুহাতেই শিক্ষার ওপর ভ্যাট বসানো ঠিক নয়। শুভবুদ্ধির পরিচয় দিতে তা প্রত্যাহার করে নেয় সরকার। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, শিক্ষাকে যদি বাণিজ্যিক উপাদানে পরিণত করা হয় তাহলে উচ্চশিক্ষার বিস্তার ও বিকাশ হবে না। বরং সরকারের উচিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যাতে বিশ্বমানের গবেষণা, মানসম্মত শিক্ষক ও কোয়ালিটি শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারে সে জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করা; পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সীমিত, তাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে যাতে গরিব-প্রান্তিক পরিবারের সন্তানরা আরও বেশি করে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারে তার দায়িত্বও রাষ্ট্রের।

ছয়. ব্যবসায়ীরা শিক্ষাকে পণ্য হিসেবে দেখতে পারে। সেটা তাদের বাণিজ্যধর্মের সঙ্গে খাপ খায়। কিন্তু রাষ্ট্র যেহেতু কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নয়, তাই সে কেন শিক্ষাকে পণ্য হিসেবে দেখবে? এখান থেকে ভ্যাট নেওয়াটা রাষ্ট্রের মৌল নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। লজ্জিতভাবে সরকারের স্বীকার করা উচিত যে, তারা সবার জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করতে পারেনি। তা যদি পারত তাহলে এই উটকো ঝামেলা পোহাতে হতো না। শুধু তাই নয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যে পরিমাণ টাকা চার্জ করে, সেটা কতটা যৌক্তিক তা মূল্যায়নের জন্যও পদক্ষেপ দরকার। এটা জানা সত্যিই জরুরি। কেননা, আমি মনে করি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উদ্যোক্তারা কেউই শিক্ষায় চ্যারিটি করতে বসেনি।

সাত. মনে করা দরকার যে, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলনজনিত অস্থিরতা বেশি দিন চলতে থাকলে একশ্রেণির উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান, যারা তথাকথিত 'ঝৈ-ঝামেলা' পছন্দ করে না, তারা উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশে চলে যাবেন। এতে করে বিপুল পরিমাণ অর্থ বাইরে স্থানান্তরিত হবে, আমাদের অর্থনীতির জন্য যার অভিঘাত হবে নেতিবাচক।

আট. আমরা যদি এদেশে শিক্ষা বিস্তারের ইতিহাসের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাব- বগুড়ায় আযীযুল হক কলেজ, রংপুরে কারমাইকেল কলেজ, সিলেটে এমসি কলেজ, কুমিল্লায় ভিক্টোরিয়া কলেজ, বরিশালে বিএম কলেজ, অম্বিকাচরণ মজুমদারের রাজেন্দ্র কলেজ, রণদাপ্রসাদ সাহার ভারতেশ্বরী হোমস কিংবা খুলনায় বিএল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার পেছনে বাণিজ্য নয় বরং মূল উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার প্রসার। সেই মহান উদ্যোক্তারা কিন্তু শিক্ষাকে পণ্য হিসেবে নয়, বরং অবহেলিত জনগোষ্ঠীর কথা চিন্তা করে প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছিলেন। শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার, এটি কোনোভাবেই পণ্য হতে পারে না। পণ্যের ওপর 'ভ্যাট' চলে কিন্তু অধিকারের ওপর নয়। তাই নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের উচ্চশিক্ষার স্বার্থে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর 'ভ্যাট' চাপিয়ে দেওয়ার মতো চিন্তাগুলো চিরতরে বর্জন করা প্রয়োজন।

নয়. আরেকটি প্রশ্ন, প্রাইভেট ভার্সিটির ওপর কি রাষ্ট্রের কোনো নিয়ন্ত্রণে থাকবে না? অবশ্যই থাকবে! বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা 'ইউজিসি' বা 'বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন'কে আরও অর্থবহ ও কার্যকর করতে হবে। 'ঠুঁটো জগন্নাথ'-এ পরিণত হওয়া ইউজিসিকে সত্যিকার অর্থে গতিশীল করতে হবে। আর অবশ্যই রাজনৈতিক বিবেচনায় সেখানে সদস্য নিয়োগও বন্ধ করে শিক্ষার সত্যিকার প্রসারে যারা ভূমিকা রাখেন তাদের নিয়োগ দিতে হবে। ইউজিসি যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান কঠোরভাবে তদারকি ও নিয়ন্ত্রণে রাখে সে জন্য সংস্থাটিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে 'দরকারি লোকবল' নিয়োগ দিতে হবে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যেন 'বাণিজ্যিক মানসিকতায়' পরিচালিত না হয়, সে জন্য ইউজিসির পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি দরকার। তথাকথিত মালিকরা যেন শিক্ষার্থীদের থেকে প্রাপ্ত টাকা সরিয়ে না নিতে পারে সে ব্যবস্থাও করতে হবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নানা ধরনের 'টিউশন ফি' ধার্য করা হয়। এটিকে 'শিক্ষার্থীবান্ধব' করতে 'সমন্বিত নীতিমালা' প্রণয়ন জরুরি। আমরা চাই, দেশে গুণগত শিক্ষার বিস্তার ঘটুক, উচ্চশিক্ষা বিকাশ লাভ করুক। কারণ শিক্ষার মধ্য দিয়েই মানব সম্পদ গড়ে ওঠে। তাই পাবলিক কিংবা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি, যেটাতেই হোক না কেন, শিক্ষা সবার অধিকার। এ অধিকারকে বাধা দিতে ও খর্ব যে কোনো 'হঠকারী' সিদ্ধান্ত মানুষ তাই মেনে নেবে না।

শিক্ষা ক্ষেত্রে ভ্যাট নিয়ে উপরোক্ত আলোচনায় বিভিন্ন উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে। সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। সরকার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারকে সাধুবাদ জানাই।-বিডিপ্রতিদিন

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে

 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে