সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৫, ০৯:১৩:১১

‘টিআইবি প্রভুদের সুতার টানে নাচে’

‘টিআইবি প্রভুদের সুতার টানে নাচে’

ঢাকা : ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রভুদের সুতার টানে নাচে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ। সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। টিআইবির সংসদ অধিবেশন-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পার্লামেন্ট ওয়াচের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। রোববার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে চিফ হুইপ বলেন, টিআইবির আয়ের উৎস কী, সেটা মানুষ জানতে চায়। তাদের টাকা কোথা থেকে আসে সেটা খতিয়ে দেখা উচিত। টিআইবি প্রভুদের সুতার টানে নাচে। জাতীয় সংসদ পুতুলনাচের নাট্যশালায় পরিণত হয়েছে- এমন মন্তব্য করে টিআইবি সংবিধান ও সংসদকে অবজ্ঞা করেছে বলেও মনে করেন তিনি। চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেন, সম্প্রতি দুজন বিদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। তাজিয়া মিছিলে হামলা করা হয়েছে, সেখানে একজন মারা গেছে। আন্তর্জাতিক মহলের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য তাদের দেশীয় চক্র এ কাজ করেছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে টিআইবি এ প্রতিবেদন দিয়েছে। সংসদ সম্পর্কে এ ধরনের মন্তব্য করেছে। আন্তর্জাতিক মহল কারা এমন প্রশ্নের জবাবে ফিরোজ বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধ থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বিরোধিতা করে আসছে, তারাই আন্তর্জাতিক মহল। চিফ হুইপ বলেন, সংসদ অকার্যকর নয়। সংসদ ভালোভাবে চলছে। চেয়ার ভাঙাভাঙি নেই, গালিগালাজ নেই। দেশের উন্নতি হচ্ছে। বিল নিয়ে কমিটিতে আলোচনা হয়। সেখানে সরকার ও বিরোধীদলীয় সদস্যরা থাকেন। বিলটি যখন পাসের জন্য উত্থাপন করা হয়, তখন সরকারি দলের সদস্যদের তেমন একটা দায়িত্ব থাকে না। বিলের বিরুদ্ধে কিছু বলার থাকলে সেটা বিরোধী দলের দায়িত্ব। তিনি বলেন, বিএনপি সংসদের বাইরে বসে সংসদের সমালোচনা করবে, গাড়ি পুড়িয়ে মানুষ মারবে, বিদেশিদের হত্যা করবে, মৌলবাদীদের দোষর হিসেবে কাজ করবে, কিন্তু এসব নিয়ে টিআইবি কিছু বলে না। চিফ হুইপ বলেন, অবশ্য টিআইবির কিছু পর্যবেক্ষণ যৌক্তিক। আমরা সাংসদদের বলব তারা যেন নিয়মিত উপস্থিত থাকেন। সংসদীয় কমিটির কোনো সদস্য ব্যবসায়িকভাবে লাভবান কি না, আমাদের কাছে সে রকম কোনো তথ্য নেই। যদি আপনাদের কাছে থাকে তাহলে আমাদের দিন। আমরা তাদের সরিয়ে দেব। সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, কীভাবে আইন হবে তা টিআইবির কাছ থেকে শিখতে হবে না। আগামী নির্বাচনে টিআইবির প্রতিনিধিরা যেন অংশ নেয় সে বিষয়ে অনুরোধ করব। তিনি বলেন, শুনেছি, টিআইবির নির্বাহী পরিচালকের ঢাকা শহরে নাকি একটি ফ্ল্যাট আছে। তিনি ফ্ল্যাটের মূল্য কম দেখিয়ে কর ফাঁকি দিয়েছেন। তার ফ্ল্যাট কেনার আয়ের উৎস কী আমরা জানতে চাই। ২৬ অক্টোবর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে