নিউজ ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডন সফর নিয় মুখ খুলেছেন তার উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া লন্ডন যাচ্ছেন মূলত চোখের চিকিৎসার জন্য। সেখানে চিকিৎসা শেষে হয়তো ওনার ছেলে তারেক রহমান সাহেব ও তার পরিবারের সাথে কিছুদিন সময় কাটাবেন।
সেখানে দলের দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে কোন রাজনৈতিক আলোচনা বা কি ধরনের আলোচনা হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, তারেক রহমান যেহেতু দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তাই স্বাভাবিক ভাবেই তাদের মধ্যে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হওয়াটা স্বাভাবিক। আমি নিশ্চিত তাদের মধ্যে আলোচনা হবে।
লন্ডন সফরে কোন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বা সেখানেতো অনেক নেতা কর্মী আছে তাদের সাথে কোন ধরনের বৈঠক করার কথা আছে কিনা এমন প্রশ্নে জবাবে আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, আমার জানামতে এই সফরে এ ধরণের কোন কর্মসূচি আছে বলে জানা নাই। লন্ডন থাকা কালে পরবর্তী সময় যদি কোন কর্মসূচির সিন্ধান্ত নেওয়া হয় সেটা আমরা পরে জানতে পারব।
নতুন করে দল সংগঠিত করার ক্ষেত্রে কতটুকু এগিয়েছেন এর জবাবে তিনি বলেন, সংগঠনের কাজ যেটা, সেটাতো চলছে। প্রত্যেক জেলা, মহানগরে চিঠি দেওয়া হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয়ভাবে কাজ এগুচ্ছে। এসব কাজের ক্ষেত্রে অনেক বাঁধা বিপত্তি আছে। তারপরেও যথাসম্ভব কাজ এগুচ্ছে।
লন্ডনে দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকের মাধ্যমে নতুন কোন কাজ শুরু হতে পারে বা নতুন কোন চিন্তাভাবনা আসতে পারে কিনা এ প্রসঙ্গে আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, আলাপ আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে যে কোন কিছু হতে পারে। সফর শেষ করে খালেদা জিয়া যখন দেশে ফিরবেন তখন দলের স্ট্যান্ডিং কমিটি আছে, দলের নীতিনির্ধারণের জন্য যারা কাজ করছেন তাদের সবার সাথে আলাপ আলোচনা করে দলের সাংগঠনিক কাজগুলো করা হবে।
বেশ কিছু দিন ধরে বড়ধরনের কোন কর্মসূচি দেখা যায়নি. সামনে কি কোন নতুন কর্মসূচি দেয়ার চিন্তা ভাবনা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম এটাও এক ধরনের কর্মসূচি। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। আন্দোলন বলতে যেটা বোঝায় সেটাতো অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ধান্ত নেওয়া হবে। এই মুহুর্তে দলের সংগঠনের কাজগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করতে হচ্ছে।
গত বেশ কয়েক বছর ধরে নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যা, গুম, জেল, মিথ্যা মামলা এসবের পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় সাংগঠনিক কর্যক্রম করা সম্ভব হয়নি। সে কাজগুলো করতে হবে এবং সাথে সাথে রাজনৈতিক কর্মসূচি বিষয়ে সময় মত নীতিনির্ধারন পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস