নিউজ ডেস্ক: নদীর তলদেশে মাটির গঠনগত বৈচিত্রের কারণে পদ্মা সেতুর পিলারের দৈর্ঘ্য কত হবে, তা নির্ধারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। ফলে মাওয়া প্রান্তে পুরোদমে পাইলিংয়ের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। তবে প্রকল্প পরিচালক বলছেন, সম্প্রতি দেশি বিদেশি পরামর্শকরা এ সমস্যার সমাধান করতে পেরেছেন।
শিগগিরই নদীর দুই প্রান্তে একসাথে পুরোদমে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হবে। এছাড়া বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি হ্যামার যোগ হওয়ায় কাজে গতি আসবে বলে আশাবাদী তারা।
পদ্মা সেতুর কাজ চলছে। সেতুর অন্য প্রকল্পগুলোর কাজ যখন সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে প্রায় শেষের দিকে, যেখানে নদীর স্রোত এবং তলদেশের মাটির স্তরের গঠনসহ নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে এগিয়ে চলেছে মূল সেতুর পাইলিংয়ের কাজ।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুতে পিলার থাকবে ৪২টি। এক একটি পিলারের প্রাথমিক দৈর্ঘ্য ধরা হয় প্রায় ১২০ মিটার। তবে শুরু থেকেই নদীর মাওয়া প্রান্তে মাটির তলদেশের গঠন বৈচিত্রের কারণে দৈর্ঘ্য নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। এই প্রান্তে ৬ ও ৭ নম্বর পিলারের কাজ ধরা হলেও পরে তা অর্ধসমাপ্ত রেখেই কাজ সরিয়ে নেয়া হয় জাজিরা প্রান্তে।
এখানে ৩৬ থেকে ৪২ নম্বর পিলার পর্যন্ত কাজ চলছে পুরোদমে। মাওয়া প্রান্তে ১ নম্বর এবং ৬ থেকে ১২ নম্বর পিলারের দৈর্ঘ্য কত হবে তা এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করা যায় নি। ফলে অন্য পিলারগুলোতে কাজ ধরা হলেও বন্ধ আছে এ কয়টি পিলারের কাজ। তবে সম্প্রতি সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে জানালেন পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম।
পদ্মায় যোগ হয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ ৩ হাজার কিলোজৌল ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন একটি হ্যামার। জার্মানিতে তৈরি এ হ্যামার প্রায় দেড়মাস সমুদ্র পাড়ি দিয়ে জুন মাসে মাওয়ায় এসে পৌঁছে। এটিকে এখন জাজিরা প্রান্তে পাইলিংয়ের কাজে ব্যবহার করা হবে। আগের দুটি হ্যামার এখন তাই ব্যবহার হবে মাওয়া প্রান্তে। সব কিছু মিলে পুরো নদী জুড়েই পাইলিংয়ের কাজে গতি আসার ব্যাপারে আশাবাদী প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা ।
এখন পর্যন্ত মূল সেতুর কাজ ৫২ শতভাগ কাজ হওয়ার কথা থাকলেও শেষ হয়েছে ৪৪ ভাগ।
১ জুলাই ২০১৭/এমটিনিউজ২৪.কম/হাবিব/এইচআর