বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৫, ১২:৩৬:০৩

অপেক্ষায় বিএনপি, ওরা যাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে

অপেক্ষায় বিএনপি, ওরা যাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে

সাগর আনোয়ার : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেবে কি নেবে না— তা নিয়ে এখনো সংশয় রয়েছে। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পরই এ বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করবে বিএনপি। অন্যদিকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলের শরিকদের মধ্যে যাদের নিবন্ধন রয়েছে তারা দলীয় প্রতীকেই আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগ্রহ দেখাচ্ছে। বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন প্রতিবেদককে বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন দেশে ফেরার পর আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে কথা বলব। সোমবার ২০ দলের শরিকদের মধ্যে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এককভাবে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল অলি আহমদ। তিনি বলেন, ‘জোটগতভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়া যায় না। আমরা এককভাবেই আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেব।’ ২০ দলের আরেক শরিক খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদেরও তাদের দলের দলীয় প্রতীক ‘ঘড়ি মার্কা’য় আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। তিনি মঙ্গলবার টেলিফোনে বলেন, আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পুরো প্রক্রিয়াকে সমর্থন করছি না। কিন্তু সরকার যেহেতু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে ও দলীয় প্রতীকেই নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। এ জন্য আমরা অংশ নেওয়ার চিন্তা করছি। জোটের আরেক শরিক বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া প্রতিবেদককে বলেন, আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমাদের দলীয় প্রতীক গাভী মার্কায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকাও তৈরি করেছি। তবে আমরা যেহেতু একটি জোটের শরিক, তাই জোটের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান প্রতিবেদককে তার দলের নেতা-কর্মীদের স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগ্রহের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের যে সব জায়গায় প্রভাব রয়েছে সেখানে তো আমাদের প্রার্থীরা ইতোমধ্যে গণসংযোগও শুরু করেছেন। তবে আমরা একটা জোটের মধ্যে রয়েছি। জোটের প্রধান দেশে ফিরে আমাদের সঙ্গে বসে যে সিদ্ধান্ত দেবেন আমরা সেই সিদ্ধান্তই মেনে নেব।’ তবে নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় ২০ দলের শরিক জামায়াতে ইসলামী দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। নিবন্ধন না থাকায় জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের বাংলাদেশ লেবার পার্টি, ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), ইসলামিক পার্টি, গরীবে নেওয়াজের নেতৃত্বাধীন পিপলস লীগ, সাইফুদ্দিন আহমদ মনির নেতৃত্বাধীন ডেমোক্রেটিক লীগ, সাঈদ আহমদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, এ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ন্যাপ ভাসানীও দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তবে এ সব দলের নেতারা নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।-দ্য রিপোর্ট ২৯ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে