নিউজ ডেস্ক: বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার ১২ বছরের শিশু মুক্তামনিকে খোদ বুকে তুলে নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে মুক্তামনির উন্নত চিকিৎসা চলছে। তার চিকিৎসায় আট সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন এবং বার্ন ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম প্রাথমিকভাবে তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক ডা. জুলফিকার আলী লেলিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মুক্তামনির অসুখের কথা জানতে পেরে প্রধানমন্ত্রী তার খোঁজখবর নেয়ার নিদের্শ দেন। তিনি তার চিকিৎসার সব ব্যয়ভার বহনের কথা বলেন।
মুক্তামনির চিকিৎসায় গঠিত বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, প্রাথমিকভাবে মুক্তামনি ইনফেক্টেট আসলার রোগে আক্রান্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার রোগটি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার পরবর্তী চিকিৎসা কার্যক্রম চলবে।
মুক্তামনির বাবা মুদি দোকানি মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, তার মেয়ে তিন বছর আগেও অন্যান্য শিশুর মতো স্বাভাবিক ছিল। হঠাৎ তার ডান হাতে ছোট ফোঁড়ার মতো হয়। ধীরে ধীরে হাতটি বৃক্ষের ছালের আকার ধারণ করে। বর্তমানে তা হাত থেকে বুকের আশপাশেও ছড়িয়ে পড়েছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে মুক্তামনির বিরল রোগে আক্রান্তের খবর প্রকাশিত হয়। এরপরই তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
১২ জুলাই ২০১৭/এমটিনিউজ২৪.কম/হাবিব/এইচআর