শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৫, ০৭:৫২:০২

খালেদাকে শমসের মবিনের ভুলেভরা চিঠি

 খালেদাকে শমসের মবিনের ভুলেভরা চিঠি

নিউজ ডেস্ক : শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে স্বেচ্ছায় রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার দাবি করলেও এ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি করেছে। বিএনপি চেয়ারপাসনর খালেদা জিয়াকে লেখা শমসের মবিন চৌধুরী চিঠিতে বেশ কয়েকটি ভুল বানান থাকায় চিঠিটি, অন্য কেউ তৈরি করে দিয়ে তাতে তাকে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, চিঠিতে যে সকল ভুল বানান রয়েছে তা বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত সুশিক্ষিত সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিনের সঙ্গে মানানসই নয়। বরং চাপের মুখে ভুল বানান সম্বলিত ফরমায়েশি পদত্যাগপত্রে তিনি সই করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে চিঠির ভুল বানান সংশোধনেরও সুযোগ পাননি তিনি। যদিও চিঠিটির প্রতিলিপিতে দেখা গেছে, টাইপ করা কাগজটিতে খালেদা জিয়াকে মান্যবর সংশোধনের পর পরিচয় হিসেবে ‘মাননীয় চেয়ারপার্সন বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’ লেখা হলে ‘চেয়ারপার্সন’ শব্দের পর যতিচিহ্ন কমা (,) না থাকায় তা কলম দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চিঠির ভুল বানানগুলো আর সংশোধন করা হয়নি। চিঠিটি শুরুতে সাধু ভাষায় লেখা হলেও পর প্রমিত ভাষায় লেখা হয়েছে। বুধবার রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কাছে এ চিঠিটি পাঠান শমসের মবিন। পরে বৃহস্পতিবার রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে শারীরিক অসুস্থতার কথা গণমাধ্যমকে জানান তিনি। শমসের মবিন চৌধুরী দাবি করেন, “কারও চাপে নয়, একান্ত স্বাস্থ্যগত কারণে রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছি।” চাপের কথা অস্বীকার করলেও বিদেশ যেতে পাসপোর্ট পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “আমি জানি না, কেন পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে না। আমার চোখের অবস্থা খুবই খারাপ। অস্ত্রোপচার করতে হবে। কেন দিচ্ছে না সরকারকে জিজ্ঞাসা করুন। তারা (সরকার) বড়ভাই খুঁজবে, না আমার পাসপোর্ট দেবে- কে জানে।” শমসের মবিনের চিঠি ও ভুল বানান “মানব্যর, বেগম খালেদা জিয়া মাননীয় চেয়ারপার্সন, বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। মাননীয় চেয়ারপার্সন, আমার সালাম ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করিবেন। আপনি নিশ্চয় অবগত আছেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে আমি গুরূতর ভাবে (শুদ্ধ: গুরুতরভাবে) আহত হয়েছিলাম। সে কারণে আমাকে বিভিন্ন সময় দেশে বিদেশে নানা বিধ (শুদ্ধ: নানাবিধ) চিকিৎসা নিতে হয়েছে। বর্তমানে আমার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটেছে। আমার বর্তমান স্বাস্থ্যগত অবস্থার কারণে আমি অনতি বিলম্বে (শুদ্ধ: অনতিবিলম্বে) রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অবসর গ্রহণের প্রেক্ষিতে আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সকল পদ থেকেও পদত্যাগ করলাম। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার স্বাস্থ্যগত সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকে মুক্তিযোদ্ধের (শুদ্ধ: মুক্তিযুদ্ধের) মূল্যবোধ কে (শুদ্ধ: মূল্যবোধকে) সামনে রেখে দেশ ও জাতীয় কল্যাণে কাজ করার প্রয়াস আমার চিরকাল থাকবে। আপনার শুস্বাস্থ্য (শুদ্ধ: সুস্বাস্থ্য) ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। ধন্যবাদান্তে, সমশের এম চৌধুরী, বীর বিক্রম ৩০ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ ঢাকা, বাংলাদেশ।”

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে