রবিবার, ০১ নভেম্বর, ২০১৫, ০৯:৫৪:০৯

লেখক-প্রকাশকদের মাঝে নতুন আতঙ্ক

লেখক-প্রকাশকদের মাঝে নতুন আতঙ্ক

ঢাকা : রাজধানী ঢাকায় একই দিনে দুটো প্রকাশনী প্রতিষ্ঠানের মালিকরা হামলার শিকার হয়েছেন, যারা সেক্যুলার ও নাস্তিক লেখকদের বইয়ের প্রকাশনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এদের মধ্যে জাগৃতি প্রকাশনীর মালিক ফয়সাল আরেফিন দীপন শাহবাগে তার অফিসে খুন হয়েছেন, আর শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর মালিক আহমেদুর রশীদ টুটুল ও তার দুই সহকর্মীকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। দুটো ঘটনায়ই হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ চালায়। একটি ঘটনায় গুলিও চালানো হয়েছে। শাহবাগ বাংলাদেশের সেক্যুলার লেখক-প্রকাশকদের মিলনকেন্দ্র। যেই আজিজ সুপার মার্কেটে ফয়সাল আরেফিন দীপনকে হত্যা করা হয়েছে, সেটি লেখক-প্রকাশকদের আড্ডার কেন্দ্র। ফলে এই মার্কেটকে ঘিরে তাদের আতঙ্কও বেশি। শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর মালিক আহমেদুর রশীদের ওপর হামলার খবর পেয়ে আজিজ সুপার মার্কেট থেকে অনেকেই ছুটে গিয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু তারা কল্পনাই করতে পারেননি যে সেখানেই আরেকজনকে হত্যা করা হয়েছে। ‘আমরা আলাপ করতাম যে আজিজে একজন প্রকাশকের অফিস থাকলে সে নিরাপদ থাকতো। আর আমাদেরকে স্তম্ভিত করে দিয়ে তারা নীরবে দীপনকে মেরে চলে গেছে। মুখে কে কি বলবে জানি না, কিন্তু প্রত্যেকের অন্তরেই কাঁপন ধরে গেছে বলে আমি বিশ্বাস করি,’ বলেন লেখক পারভেজ হোসেন। যে দুটো প্রকাশনীর মালিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে, তাদের প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে এর আগে খুন হওয়া লেখক এবং ব্লগার অভিজিৎ রায়ের বইও ছিল। আহমেদুর রশীদ টুটুল হত্যার হুমকিও পেয়েছিলেন। বাংলাদেশ সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা সেলিম বলেন, এই দুটি ঘটনায় তারা মর্মাহত। ‘সামনে হয়তো আমরা থেমে যাবো না, কিন্তু আমরা নিজেদের বিপন্ন বোধ করছি,’ বলেন সেলিম। নিহত অভিজিৎ রায়ের পিতা অধ্যাপক অজয় রায়ের মতে, এর আগে একের পর এক লেখক হত্যার বিচার হলে হয়তো প্রকাশকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটতো না। ‘হত্যার সাথে সংশ্লিষ্টদের যখন আইনের আওতায় আনা না হয় তখন এই হত্যাকারীরা আইনের ঊর্ধ্বে উঠে যায় এবং তারা উৎসাহিত বোধ করে। তারই শেষ ঘটনা হচ্ছে টুটুলের ওপর হামলা।’ এর আগের হত্যাকাণ্ডগুলোর তদন্ত অনন্তকাল ধরে চলবে কিনা সেই প্রশ্নও করেন অধ্যাপক রায়। ১ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে