মামুনের খালাসের রায় বাতিল
ঢাকা : বহুল আলোচিত ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে দেওয়া হাইকোর্টের খালাসের রায় বাতিল করেছে দিয়েছে আপিল বিভাগ।
একইসঙ্গে আদালত হাইকোর্টে এই মামলার পুনঃশুনানি করার আদেশ দিয়েছে।
রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) লিভ টু আপিরের নিষ্পত্তি করে এই আদেশ দেয়।
আদালতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন- অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ২০০৮ সালে বিচারিক আদালত মামুনকে ১০ বছরের সাজা, ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক বছরের জেল দেয়।
এ রায়ের বিরুদ্ধে মামুন আপিল করলে ২০১২ সালে ৩০ জুলাই হাইকোর্ট তাকে খালাস দেয়। পরে এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায় দুদক।
খুরশীদ আলম খান জানান, ২০১২ সালের ৩০ জুলাই হাইকোর্টের ওই রায়ে মামুনের সাবেক স্ত্রী শাহিনা ইয়াসমিনকেও খালাস দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে আরেকটি লিভ টু আপিল শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
গিয়াস উদ্দিন আল মামুন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ট বন্ধু হিসেবে পরিচিত। মুদ্রা পাচারের একটি মামলায় সাত বছরের সাজা খাটছেন তিনি।
বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মামুনসহ ৫০ ব্যক্তির সম্পদের হিসাব ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জমা দেওয়ার নোটিশ দেয় দুদক।
ওই নোটিশের জবাবে সম্পদের হিসাব দাখিল না করায় ৮ মে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামুন ও তার তখনকার স্ত্রী শাহিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় মামুনের বিরুদ্ধে ১০১ কোটি ৭৩ লাখ ৭৩,৩৬৯ টাকা এবং শাহিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ৯ কোটি ২২ লাখ ৭৯,০৫৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
ওই বছরের ২৪ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের আরেক সহকারী পরিচালক সৈয়দ তাহসিনুল হক।
মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২৭ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত মামুনকে ১০ বছর এবং তার স্ত্রী শাহিনা ইয়াসমিনকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়।
মামুন ও শাহিনা ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করলে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ ২০১২ সালে তাদের খালাস দেয়।
এরপর দুদক হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলে মামুনের খালাসের সেই রায় বাতিল হয়ে গেল।
১ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ