নিউজ ডেস্ক : বিশ্বের অনেক দেশেই বহুবিবাহ আইনত দণ্ডনীয়। তবে মুসলিম প্রধান দেশগুলিতে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে আজও একাধিক বিয়ে করার রীতি প্রচলিত। বাংলাদেশের হিন্দু নাগরিকদেরও নাকি আইনত বহুবিবাহ করার অধিকার রয়েছে। এমনটাই জানা গিয়েছে মার্কিন সরকারের প্রকাশিত একটি রিপোর্টে।
মঙ্গলবার ‘ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম রিপোর্ট ফর ২০১৬’ শীর্ষক একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয় ওয়াশিংটনে। সেখানে বিভিন্ন দেশের বিবাহ আইন খতিয়ে দেখেন বিশেষজ্ঞরা। তারপর প্রকাশ করা হয় ওই রিপোর্ট। সেখানে বলা হয়েছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জন্য প্রযোজ্য আইন ও ভারতের সংখ্যালঘুদের আইনের মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে। ওই আইনেই সে দেশের হিন্দু নাগরিকদের একাধিক বিবাহ করার অধিকার দেওয়া হয়েছে। তবে ওই আইনে বিবাহবিচ্ছেদের কোনও উল্লেখ নেই। এছাড়াও বিচ্ছেদের পর পুনরায় বিবাহ করার বিষয়েও সেখানে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
তবে খোদ বাংলাদেশেই ওই আইনের বিরুদ্ধে জোরাল হয়েছে প্রতিবাদ। ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’, ‘আইন ও সালিশ কেন্দ্র’, ‘বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ’-সহ বিভিন্ন সমাজসেবী সংগঠন ওই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় ২৬.৭ শতাংশ হিন্দু পুরুষ ও ২৯.২ শতাংশ নারী ওই আইনের জন্যই বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটতে পারছেন না। শুধু বাংলাদেশ নয়, পাকিস্তানেও আইনের গেরোয় হেনস্তার শিকার হচ্ছে সংখ্যালঘুরা। সে দেশে আইনসিদ্ধভাবে বিবাহ করতে পারেন না হিন্দুরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মতো ইসলামপন্থী দেশগুলিতে জনসংখ্যার বিস্ফোরণের একটি প্রধান কারণ হচ্ছে বহুবিবাহ প্রথা। এছাড়াও সংখ্যালঘুদের জন্য নির্দিষ্ট কোনও বিবাহ সম্পর্কিত আইন না থাকায় তাদের হেনস্তার মুখে পড়তে হয় বলেও অভিযোগ উঠছে।
সূত্র : ‘ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম রিপোর্ট ফর ২০১৬’ শীর্ষক রিপোর্ট নিয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ‘সংবাদ প্রতিদিন’।
এমটিনিউজ/এসএস