নিউজ ডেস্ক : সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে ব্যার্থ হয়ে বিএনপির রাজনীতি এখন বেপরোয়া ড্রাইভারের মতো হয়ে গেছে। ৮ বছরে ৮ মিনিট যারা রাজপথে থাকতে পারেন না- তাদের লজ্জা করে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘তারা মন খারাপ করে যে কোন সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই সবাই সতর্ক থাকবেন, সজাগ থাকবেন। আঘাতে আঘাতে আমরা স্তিমিত নই। আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, আমরা এগিয়ে যাব।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ষোড়শ সংশোধনী রায়ে বিএনপি নতুন একটি ইস্যু পেয়েছিল। কিন্তু তাদের সেই ইস্যু ক্রমেই বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। জাতীয় শোক দিবসের দিন ভোরে আরেকটা ১৫ আগস্ট, আরেকটা একুশে আগস্টের মতো জঙ্গিবাদী হত্যাযজ্ঞ ঘটানোর পরিকল্পনা পন্ড হওয়ায় বিএনপিনেতাদের এখন মন খারাপ।
সেদিন জঙ্গি হামলার মাধ্যমে অনেক লোক হত্যার পরিকল্পনা ছিল। আল্লাহ রক্ষা করেছেন। তারা জন্মদিবসের কেক না কেটে, বন্যার্তদের নিয়ে মায়াকান্না দেখাচ্ছেন। আসলে জনগণের অবরুদ্ধতার মুখে কেক কাটতে না পেরেও তাদের মন খারাপ।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুনর্বাসন করে কি লাভ হয়েছে? জিয়াউর রহমান যদি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুনর্বাসন না করতেন তাহলে আরেকটি খুনি চক্র জিয়াকে হত্যার দু:সাহস দেখাতো না। যে বুলেট শেখ হাসিনাকে, শেখ রেহানাকে এতিম করেছে। সেই বুলেট খালেদা জিয়াকে বিধবা করেছে। হত্যার রাজনীতি থেকে আপনারাও রেহাই পাননি।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের চলমান ভয়াবহ বন্যা সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে জানানো, রাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থার খোজ-খবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে সরকার ও দলীয় অবস্থান রাষ্ট্রপতিকে জানানো সরকার ও দলীয় প্রধান হিসেবে তার দায়িত্ব।
তিনি বলেন, আমরা লাফালাফি করছি না। আমাদের মধ্যে কোন অস্থিরতা নেই। কারণ জনগণ আমাদের ক্ষমতার উৎস। জনগণ ক্ষমতায় রাখতে পারে, জনগণ ক্ষমতা থেকে বিদায় করতে পারে। যাদের ক্ষমতার উৎস জনগণ নয় তারা একটা ইস্যু পেলেই লাফালাফি করে। ৮ বছরে ৮ মিনিট যারা রাজপথে থাকতে পারেন না- তাদের লজ্জা করে না?
সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। নন ক্যাডার এসোসিয়েশনের সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সভাপতিত্বে শোক সভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, শোক দিবস পালন কমিটির আহবায়ক রুহুল আমিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এমটিনিউজ/এসএস