শুক্রবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৭, ০৯:১৩:১৯

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে নিয়ে অা’লীগে নানান অালোচনা

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে নিয়ে অা’লীগে নানান অালোচনা

নিউজ ডেস্ক : কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমকে নিয়ে ক্ষমতাসীন অাওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে নানান অালোচনা শুরু হয়েছে। তিনি ফের অাওয়ামী লীগে ফিরে অাসছেন, সরাসরি অাওয়ামী লীগে না ফিরলেও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ অাওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দিচ্ছে এমন অালোচনা শোনা যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দলীয় নেতাকর্মীদের মুখে।

দীর্ঘ একযুগ পর গত ১৫ অাগস্ট অাওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন কাদের সিদ্দিকী। ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘরে শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রায় এক ঘন্টা কথা বলেন কাদের সিদ্দিকী। শেখ রেহানা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী নাসরিন কাদের সিদ্দিকী, ছেলে দীপ সিদ্দিকী ও মেয়ে খুশি সিদ্দিকী। বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার প্রতিবাদে অস্ত্র হাতে নিয়ে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার জন্য শেখ হাসিনা ও শেখ শেখ রেহানা কাদের সিদ্দিকীকে ধন্যবাদ জানান। এসময় অাবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয় সেখানে।
১৬ অাগস্ট জাতীয় শোক দিবসের অাওয়ামী লীগ অায়োজিত অালোচনাসভায় সাংস্কৃতিকমন্ত্রী অাসাদুজ্জামান নুর যে কবিতাটি অাবৃত্তি করেন তাতে একাধিকবার উচ্চারিত হয় কাদের সিদ্দিকীর নাম। অালোচনাসভা শেষে উপস্থিত নেতাকর্মীরা কাদের সিদ্দিকীকে নিয়ে অালোচনায় মেতে উঠেন। শেখ হাসিনার সঙ্গে একযুগ পর কাদের সিদ্দিকীর সাক্ষাত এবং শোক দিবসের অালোচনাসভায় তার নাম বারবার উচ্চারিত হওয়ায় বিষয়টি অানন্দিত হয়েছেন অাওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা।

প্রধানমন্ত্রী হাসিনাসহ সরকারের কিছু কর্মকান্ড নিয়ে প্রকাশ্যে নেতিবাচক সমালোচনা করে ১৯৯৯ সালে অাওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কার হয়েছিলেন কাদের সিদ্দিকী। এরপর নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন তিনি। শেখ হাসিনা এবং অাওয়ামী লীগের সমালোচনা করলেও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দেননি কাদের সিদ্দিকী।
কাদের সিদ্দিকী অাওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কার হওয়ার পর তার বড় ভাই অাব্দুল লতিফ সিদ্দিকী লাইম লাইটে টেনে অানেন শেখ হাসিনা। প্রধমে কার্যনির্বাহী সদস্য এবং পরবর্তীতে অাওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য করা হয় লতিফ সিদ্দিকীকে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় অাসার পর তাকে মন্ত্রিসভার সদস্য করেন শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর গঠিত মন্ত্রিসভায়ও রাখা হয় লতিফ সিদ্দিকীকে। কিন্তু নিউ ইয়ার্কে এক অালোচনাসভায় পবিত্র হজ্ব,  তাবলীগ জামায়াত নিয়ে নেতিবাচক বক্তব্য রাখার দায়ে অাওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কার হন লতিফ সিদ্দিকী। সংসদ সদস্য পদ হারান তিনি। মন্ত্রিসভা থেকেও তাকে বাদ দেওয়া হয়।

মুক্তিযুদ্ধে অনেক অবদান রেখেছিল টাঙ্গাইলের সিদ্দিকী পরিবার। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রবিবাদ, অস্ত্র হাতে প্রতিরোধ যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়া, দীর্ঘ দিন নির্বাসনে থাকা, ৭৫ পরবর্তী অাওয়ামী লীগ রাজনীতি ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে সিদ্দিকী পরিবার। ফলে কাদের সিদ্দিকীকে দলে ফিরিয়ে অানার দাবি রয়েছে অাওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে