নিউজ ডেস্ক : চাহিদার তুলনায় সরবরাহের হার বাড়তে থাকায় বন্দরনগরী চট্টগ্রামে কমতে শুরু করেছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৭ থেকে ৯ টাকা কমেছে। একইভাবে প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা কমেছে আদা ও রসুনের দাম।এক্ষেত্রে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কারসাজি বন্ধ না হলে এসব পণ্যের আবারো দাম বাড়ার আশংকা করছেন ব্যবসায়ীরা।
গারা বছরে দেশে ২৮ থেকে ৩০ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ, ৭ থেকে ৮ লাখ মেট্রিক টন আদা এবং ৯ থেকে ১০ লাখ মেট্রিক টন রসুনের চাহিদা রয়েছে। যার অধিকাংশই ভারত এবং চীন থেকে আমদানি করতে হয়।
তবে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ ঘাটতি দেখিয়ে গত দু’সপ্তাহে শুধু পেঁয়াজের দাম দু’ থেকে তিনগুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়। তবে চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজের পাশাপাশি কমেছে আদা ও রসুনের দাম।
তুলনামূলকভাবে দাম কমলেও রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কারসাজি বন্ধ হচ্ছে না বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। ভারতের নাসিক এলাকায় বন্যার অজুহাত দেখিয়ে প্রতিদিনই পেঁয়াজের বুকিং রেট বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। সে সাথে স্থল বন্দরগুলোতেও পণ্যবাহী ট্রাক আটকে রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিরও অভিযোগ রয়েছে।
ভোমরা, হিলি, সোনা মসজিদ স্থল বন্দরের পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েও আদা, রসুন এবং পেঁয়াজ আমদানি হয়।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস