সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৭, ১২:৪৯:২২

টাঙ্গাইলে ছুটে আসা ৪ সন্তানের জননী মালয়েশীয় নারী এখন কি করবেন?

টাঙ্গাইলে ছুটে আসা ৪ সন্তানের জননী মালয়েশীয় নারী এখন কি করবেন?

নিউজ ডেস্ক : প্রেমের টানে মালয়েশিয়ান নারী জুলিজা বিনতে কামিসের সঙ্গে সখীপুরের তরুণ মনিরুলের বাড়িতে ধুমধাম করে বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। কিন্তু শুক্রবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে খবর আসে ওই তরুণী চার সন্তানের জননী। বন্ধ হয়ে যায় বিয়ে। মনিরুলের পরিবারে নেমে আসে হতাশার আঁধার।

শনিবার দিনব্যাপী এ সংবাদটি টাঙ্গাইল ও সখীপুরের টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়। পরে শনিবার দুপুরে মনিরুলের বাড়ি সখীপুর পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডে ও মামার বাড়ি পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের বাসায় খোঁজ নিতে গেলে তারা সকাল থেকে ওই মালয়েশিয়ান তরুণী ও মনিরুলকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান। এরপর থেকেই মনিরুলের মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে।

জানা যায়, প্রায় ছয় মাস আগে মালয়েশিয়ান যুবতী জুলিজা বিনতে কামিসের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের ইমান আলীর ছেলে মনিরুল ইসলামের পরিচয় হয়। মনিরুল সরকারি মুজিব কলেজের মানবিক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের টানেই মালয়েশিয়া শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জুলিজা বিনতে কাসিম মনিরুলকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন।

মনিরুলও তার প্রস্তাবে রাজি হয়। পরে জুলিজা প্রেমের বিষয়টি পরিবারের কাছে গোপন রেখে বন্ধুর বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে বাংলাদেশে চলে আসে। সে এক মাসের ভ্রমণ ভিসা নিয়ে ১৭ দিনের জন্য আসে। জুলিজা বিমানবন্দরে নামার আগে থেকেই প্রেমিক মনিরুল, মা মনোয়ারা ও নানা আমজাদ আলী অপেক্ষা করছিল। শুক্রবার ভোরে মনিরুল তাকে নিয়ে পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডে মামা নওশের শিকদারের বাড়িতে ওঠেন। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ওই বাড়িতে উৎসুক জনতা ভিড় জমান।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বিয়ের প্রস্তুতি চলছে। পরের দিন এ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে জুলিজা বিনতে কামিসের পূর্বের স্বামী মো. আজগর আলীর নজরে আসে। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জুলিজার বিনতে কামিসের ফেলে আসা স্বামী আজগর আলী চার সন্তানসহ তাদের পারিবারিক একটি গ্রুপ ছবি ও কাবিননামাসহ বিস্তারিত তথ্য সাংবাদিকদের কাছে পাঠান।

মো. আজগর আলী জুলিজাকে নিজের স্ত্রী ও চার সন্তানের জননী দাবি করে বলেন, ১৯৯৬ সালে মালয়েশিয়া আসি। সেখানেই পরিচয় হয় জুলিজার সঙ্গে। ২০০৮ সালে ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়। বর্তমানে জুলিজার বয়স প্রায় ৩২ বছর। তিনি আরো জানান, তাদের সংসারে চারটি সন্তানও রয়েছে। আজগর আলীর বাড়ি বাংলাদেশের ঢাকার ঝিগাতলা। সেই সন্তানদের ফেলেই শুক্রবার সে বাংলাদেশে চলে আসে।

তবে একটি সূত্রে জানা যায়, গতকাল ওই তরুণীর মা ছামিনা’র বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে। তিনি এসে মেয়েকে আবার মালয়েশিয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। এদিকে মনিরুলের বাবা ঈমান আলী বলেন, ‘মনিরুল ওই তরুণীকে নিয়ে সকাল থেকে কোথায় আছে জানিনা। এ ব্যাপারে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদুল আলম বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই।
এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে