মঙ্গলবার, ০৩ নভেম্বর, ২০১৫, ১২:৩৮:৩৬

‘এই হত্যা বিশ্বে নজিরবিহীন’

 ‘এই হত্যা বিশ্বে নজিরবিহীন’

ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গণতন্ত্রের ইতিহাসে ৩ নভেম্বর একটি কলঙ্কিত দিন।জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি। ইতোমধ্যে সরকার জাতীয় চারনেতা হত্যার বিচার সম্পন্ন করেছে। জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে সোমবার দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবর্তমানে তার ঘনিষ্ঠ সহচর ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চারনেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘কারাগারের অভ্যন্তরে এ ধরনের বর্বর হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে জাতীয় চারনেতার হত্যাকাণ্ড ছিল বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতা।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলার মাটি থেকে আওয়ামী লীগের নাম চিরতরে মুছে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস এবং বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল।’ তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরের সেই ষড়যন্ত্রকারী ও হত্যাকারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদদাতারা পরবর্তী ২১ বছর দেশের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখে। শাসকগোষ্ঠী কখনও সামরিক লেবাসে, কখনও গণতন্ত্রের মুখোশ পরে অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা ধরে রাখে। সেই সঙ্গে শাসকগোষ্ঠী আত্মস্বীকৃত খুনিদের রক্ষা করতে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করা হয়েছে। জাতীয় চারনেতা হত্যার বিচার সম্পন্ন করা হয়েছে। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী-মানবতাবিরোধীদের বিচারের রায় কার্যকর হচ্ছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীদের বিচার কাজ চলছে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার সরকার গণতন্ত্র ও আইনের শাসনকে সমুন্নত রেখেছে। কোন ষড়যন্ত্রই তাদের সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা থেকে বিচ্যুত করতে পারবে না।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৯-২০১৩ মেয়াদে তার সরকার দেশকে দৃঢ় অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছে। উন্নয়নের সেই ধারাবাহিকতা ও সংবিধানকে সমুন্নত রাখতে দেশের জনগণ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেও পুনরায় তাদের বিজয়ী করে।’ শেখ হাসিনা বলেন,‘ ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। এখন তাদের লক্ষ্য, ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে প্রতিক্রিয়াশীল চক্র সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সংঘবদ্ধ অপশক্তির দেশবিরোধী ও দেশের উন্নয়নবিরোধী চক্রান্ত নস্যাৎ করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। ৩ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে