বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৭, ১২:৩৮:৪৮

আওয়ামী লীগ-বিএনপি ফিফটি-ফিফটি

আওয়ামী লীগ-বিএনপি ফিফটি-ফিফটি

নূর ইসলাম, যশোর থেকে : দেশের সীমান্তবর্তী যশোর-১ আসনে ভোটের হাওয়া বইছে। এখানে নৌকা আর ধানের শীষে লড়াইয়ে প্রার্থী হতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন বড় দুই দলের প্রায় হাফ ডজন নেতা।

তবে, হামলা মামলা আর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি পুলিশি হয়রানির কারণে এখনো পর্যন্ত এখানে বিএনপি নেতারা মাঠ ছাড়া। আর বহু আগেই মাঠ ত্যাগ করেছেন জামায়াত নেতারা। ফলে বর্তমানে এ আসনে মাঠে তৎপরতা শুধু সরকারি দল আওয়ামী লীগের। তবে কর্মীরা বলছেন সময় আর সুযোগ পেলে বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা সরব হয়ে উঠবেন।

শার্শা উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও বেনাপোল পৌরসভা নিয়ে জাতীয় সংসদের ৮৫ যশোর-১ নির্বাচনী এলাকা গঠিত। বর্তমানে এই নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৫৩ হাজার ৪৮১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ২৬ হাজার ১৮১ জন। আর নারী ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ২৭ হাজার ৩০০ জন। বর্তমানে সরকারি দল আওয়ামী লীগের টিকিটে টানা দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আফিল গ্রুপের কর্ণধার শেখ আফিল উদ্দিন।

২০০৮ সালের নির্বাচনে শেখ আফিল উদ্দিন মাত্র সাড়ে ৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিএনপি জোটের প্রার্থী জামায়াত নেতা মাওলানা আজিজুর রহমানকে পরাজিত করে প্রথম বার এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনে শেখ আফিল উদ্দিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টানা দ্বিতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। এর আগে ২০০১ সালে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিনকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন বিএনপির প্রার্থী আলহাজ আলী কদর।

এর আগের দুটি জাতীয় নির্বাচনে এই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা অ্যাডভোকেট তবিবর রহমান সরদার। ’৯১ ও ’৯৬ সালের ওই দুটি নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির প্রার্থী আলহাজ আলী কদর। আর এ কারণে এই নির্বাচনী  আসনটির দাবিদার আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমান ভাবে। জাতীয় নির্বাচনের এই চালচিত্রের পাশাপাশি স্থানীয় সরকারের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনেও এই দুই দলের প্রার্থীদের মধ্যেই চলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা।

বিগত কয়েকটি ইউপি নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনা করলে দেখা যায় প্রতিটি নির্বাচনে কখনো আওয়ামী লীগ আবার কখনো বিএনপির প্রার্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান বা মেম্বার পদে জয়লাভ করেছেন। অন্যদিকে  বেনাপোলকে পৌরসভায় উন্নতির করার পর প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল আলম লিটন। ওই নির্বাচনেও লিটনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির প্রার্থী নাজিম উদ্দিন।

এই নির্বাচনে নাজিম উদ্দিন মাত্র কয়েকশ’ ভোটে পরাজিত হন। অথচ বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আবু তাহের ভরত ওই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করে প্রায় ১ হাজার ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন। এর পর নানা আইনি জটিলতায় দীর্ঘদিন নির্বাচন না হওয়ায় লিটন মেয়র হিসেবে একাধিক টার্ম দায়িত্ব পালন করছেন।

অপরদিকে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলের অবস্থান এই সংসদীয় আসনে। বেনাপোল বন্দরকে বলা হয় দেশের পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার। ভারত হয়ে এশিয়া হাইওয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এই বেনাপোল বন্দর দিয়েই। এছাড়া স্থল পথের বাণিজ্যের শতকরা ৭০ শতাংশই সম্পন্ন হচ্ছে এই বন্দর ব্যবহার করে। বর্তমানে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ সুসম্পর্ক বিরাজ করছে।

ফলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে সব রকমের আমদানি রপ্তানি বেড়েছে বহুগুণে। সরকার এই বন্দর থেকে প্রতি বছর কয়েক হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করছে। এসব কারণে সরকারের কাছে বা দেশের ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর কাছে বেনাপোল বন্দর তথা শার্শা নির্বাচনী আসনটির গুরুত্ব সব সময় বেশি। আর এ কারণে প্রতিটি রাজনৈতিক দল এই আসনটি তাদের দখলে রাখতে চেষ্টা করে সব সময়। অতীতের নির্বাচনী ফলাফল পর্যালোচনা করলে দেখা যায় এই আসনটির দাবিদার বিএনপি ও আওয়ামী লীগ ফিফটি ফিফটি।

তবে একক ভোটের হিসাবে এখানে বিএনপির তুলনায় আওয়ামী লীগ কিছুটা এগিয়ে রয়েছে বরাবরই। মাঠ পর্যায়ের তথ্য আর বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত ভোটের হিসাব-নিকাশে দেখা যায় একক রাজনৈতিক দল হিসেবে এই আসনে আওয়ামী লীগের রিজার্ভ ভোটের সংখ্যা ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ। অন্য দিকে বিএনপির একক ভোটের সংখ্যা ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ। আর বিএনপি জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীর একক ভোটের সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ শতাংশ।

তবে জোটগত হিসাব কষলে আওয়ামী লীগের তুলনায় বিএনপি জামায়াত জোটের ভোটের অংক প্রায় ৬০ শতাংশ, যা আওয়ামী লীগ জোটের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে এই আসনে ২ থেকে ৩ শতাংশ ভোট পায় জাতীয় পার্টি। বাদবাকি রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো তৎপরতা নেই। এ হিসাব কষে আগামী নির্বাচন যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হয় তবে এই আসনে বিএনপি জোটের প্রার্থীর জয়লাভের সম্ভাবনাকে উজ্জল করে দেখছেন তাদের ভোটার ও কর্মী-সমর্থকরা।

তবে সেই ক্ষেত্রে প্রার্থী নির্বাচনে দলীয় প্রধানকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেন ভোটাররা। তাদের বক্তব্য, আগামী নির্বাচনে এমন একজন প্রার্থীকে এই আসনে মনোনয়ন দিতে হবে যিনি শেখ আফিল উদ্দিন বা আশরাফুল আলম লিটনের  বিরুদ্ধে ভোটযুদ্ধে অর্থ ও জনবল দুটিই কাজে লাগাতে পারবেন।

এদিকে আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুজ্জামান মধু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাসান জহির এবং স্বেচ্ছাসেবকদলের কেন্দ্রীয় নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম মহাসিন কবীর। অপরদিকে আসন্ন নির্বাচনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দলের বহিষ্কৃত নেতা বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তির নাম উচ্চারিত হচ্ছে তার কর্মী সমর্থকদের মুখে মুখে।

ইতিমধ্যে এলাকায় চাউর হয়েছে তৃপ্তির বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে তাকে দলে ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে। দলে তার এই আগমনকে অনেকেই মাঠ পর্যায়ে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর পাশাপাশি তৃপ্তির বিরোধিতাও কম নেই। শার্শা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য হচ্ছে ওয়ান ইলেভেন সরকারের পর থেকে তৃপ্তি রাজনীতির মাঠে অনুপস্থিত। বিগত দিনে সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে শার্শার জাতীয়তাবাদী শক্তি যে কঠোর ভূমিকা পালন করেছে সেখানে তৃপ্তির কোনো অংশগ্রহণ ছিল না।

বর্তমানে শার্শা উপজেলার বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী এলাকা ছাড়া। হামলা মামলার শিকার হয়ে এসব পরিবারগুলোর ছন্নছাড়া অবস্থা। অনেকে সহায় সম্বল সব হারিয়ে আজ শুধু রাজনৈতিক কারণে নিঃস্ব। মফিকুল হাসান তৃপ্তি এসব বিপদ আপদগ্রস্ত নেতাকর্মীর পাশে দাঁড়াননি। তিনি কোনো রাজনৈতিক মামলার আসামি হয়ে কারাবরণ করেননি। অথচ আজ সুদিনে তিনি হুট করে দলে ফিরে প্রার্থী হবেন সেটা নেতাকর্মীরা মেনে নেবে না। অপরদিকে তৃপ্তির অনুসারীরা বলছেন ভিন্ন কথা।

তাদের কথা হচ্ছে তৃপ্তি দল থেকে বহিষ্কার হলেও তিনি শার্শার মানুষের বিশেষ করে জাতীয়তাবাদী ঘরনার মানুষের শক্তি ও প্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করছেন।  রাজনৈতিক কারণে তিনি সব সময় মাঠে সরব না থাকলেও তার পরামর্শ ও দিকনির্দেশনার কোনো অভাব কোনোদিন হয়নি। তিনি যখন যা পেরেছেন দলের নেতাকর্মীদের জন্য করেছেন। এছাড়া এক সময় কেন্দ্রে ভালো অবস্থান থাকার কারণে তিনি যদি আগামীত দলের টিকিট পান তাহলে এলাকার মানুষ উজ্জীবিত হবেন।

নেতারা ক্ষোভ-বিক্ষোভ ভুলে একমঞ্চে এসে ধানের শীষের পক্ষে জোয়ার তুলবেন। কারণ বিগত দিনগুলোতে সরকারি দলের নেতাকর্মী আর পুলিশি নির্যাতনে এই উপজেলার বিএনপি ঘরানার হাজার হাজার মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তারা এখন সামনের দিকে অগ্রসর হতে চায় কিন্তু সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়ার মতো সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য একজন লিডার তাদের সামনে অনুপস্থিত। তারা দীর্ঘদিন মফিকুল হাসান তৃপ্তির অভাব অনুভব করছেন। ফলে তৃপ্তি যদি আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের টিকিট লাভ করতে পারেন তাহলে এই আসনে দলের বিজয় সুনিশ্চিত হবে।

এদিকে আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের দৌড়ে নেমেছেন আওয়ামী লীগের দুই জায়েন্ট ক্যান্ডিডেট। এরা হচ্ছেন বর্তমান এমপি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শেখ আফিল উদ্দিন ও বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন। শেখ আফিল উদ্দিন ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী আলহাজ আলী কদরের কাছে পরাজিত হলেও হাল ছাড়েননি। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মিলেমিশে টানা ৫ বছর মাঠ গুছিয়ে ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন।

ওই নির্বাচনে তিনি বিএনপি জোটের প্রার্থী জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আজিজুর রহমানকে পরাজিত করেন। দ্বিতীয় দফায় ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন। কিন্তু এই দুই দফাতেই এমপি শেখ আফিল উদ্দিনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও লুটপাটের অভিযোগ তোলেন প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি দলের নেতাকর্মীরা। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে শেখ আফিল উদ্দিনের শিষ্যখ্যাত আশরাফুল আলম লিটন সামনে চলে এসেছেন।

অনেকে বলছেন, লিটন আগামী নির্বাচনে আফিল উদ্দিনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবেন। দলের উচ্চপর্যায়ে লিটনের রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি ও সুসম্পর্ক। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের কর্ণধার শাহীন চাকলাদারের আশীর্বাদপুষ্ট এই নেতার সঙ্গে শীর্ষ নেতাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে যারা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছেন তাদের অধিকাংশই লিটনকে চেনেন এবং জানেন।

এছাড়া বেনাপোল পৌরসভার দৃশ্যত উন্নতি লিটনকে রাজনীতির মাঠে সামনের সারিতে দাঁড় করিয়েছে। এসব কারণে আগামী নির্বাচনে লিটন এই আসন থেকে নিজেকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রচার করে মাঠ দখলে রাখার চেষ্টা করছেন। ইতিমধ্যে তিনি উপজেলার সব ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে তার পক্ষীয় নেতাকর্মীদের সক্রিয় করতে কাজ শুরু করেছেন।

এদিকে ক্ষমতা আর অর্থের দ্বন্দ্বে শার্শা আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন দ্বিধাবিভক্ত। দুই ধারায় ভাগ হয়ে এখানকার নেতাকর্মীরা নিজস্ব ভাব-ভঙ্গিমায় দল পরিচালনা করছেন। কর্মীরা বলছেন, এলাকার উন্নয়নে শেখ আফিল উদ্দিন যেসব কাজ করেছেন তা সত্যিই প্রশংসার। কিন্তু তার সময়ে এখানে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন হয়েছে বেশি।

এই দুই প্রার্থী ছাড়াও আগামী নির্বাচনে এই আসনে নৌকার টিকিট প্রাপ্তির চেষ্টা করছেন পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আবদুল মাবুদ। তবে মাঠ পর্যায়ে তার কোনো কর্মকাণ্ড এখনো চোখে পড়েনি। সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পর তিনি এলাকায় তেমন সরব হননি। তবে আওয়ামী ঘরনার বহু কর্মী-সমর্থক আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে  আবদুল মাবুদের নাম উচ্চারণ করছেন।

অপর দিকে আগামী নির্বাচনে যদি জামায়াত বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করে এবং দলীয় প্রার্থীরা ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছা পোষণ করেন তাহলে এই আসনের শক্ত দাবিদার জামায়াত নেতা মাওলানা আজিজুর রহমান। সর্বশেষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ নির্বাচনে সামান্য ভোটের ব্যবধানে মাওলানা আজিজুর রহমান পরাজিত হয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে জামায়াতের সেই অবস্থান নেই বলে মনে করছেন অনেকে।

তাছাড়া হামলা মামলা খেয়ে দলের নেতাকর্মীরা ছিন্নভিন্ন। মাওলানা আজিজুর রহমান রাজনীতিতে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত। এলাকার সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নেই। ফলে আগামী নির্বাচনে তিনি দলীয়ভাবে প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ বা স্বতন্ত্র কোনো প্রতীক নিয়েও যদি নির্বাচনে অংশ নেন তবে ফলাফলে যে ২০০৮ সালের প্রতিধ্বনি ঘটবে সে বিষয়ে একমত বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

তারা মনে করছেন, আগামী নির্বাচনে হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে যেমন মরিয়া বিএনপি অন্যদিকে দখলে থাকা এই আসনটি ধরে রাখতে মরিয়া আওয়ামী লীগ। তবে এই দুই দলেই অভ্যন্তরীণ বিরোধ তুঙ্গে। একপক্ষ অন্যপক্ষকে মেনে নিতে নারাজ। এই কারণে এই আসনে আগামীতে জয়-পরাজয় নির্ভর করছে প্রার্থী নির্বাচনে কোন দল কতটা কর্মীনির্ভর হতে পারে তার ওপর। -এমজমিন
এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে