নিউজ ডেস্ক: টেকনাফের হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়নের পাহাড়ী এলাকার অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমারের চলমান সহিংসতার মাঝে প্রসব বেদনা নিয়েই পালিয়ে আসা এক রোহিঙ্গা মা যমজ শিশুর জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু দুজন নবজাতকের মধ্যে এক সন্তানকে বাঁচাতে পারেননি তিনি।
৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই ক্যাম্পের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অস্থায়ী মেডিক্যাল টিমের সহযোগিতায় তার ডেলিভারি হয়। প্রসূতি নারী রেহেনা বেগম (২২) মংডুর রাশিডাং এলাকার পেঠান আলীর স্ত্রী। তারা দু’জন দুইদিন পূর্বে পালিয়ে নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন।
ওই পরিবার জানায়, মিয়ানমারে হত্যা, লালসা মেটানো, ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়াসহ নির্যাতনের মাত্রা সীমাহীন হওয়ায় তাদের অনাগত সন্তানকে বাঁচাতে এপারে চলে আসেন। কিন্তু আসার সময় রেহেনার প্রসব বেদনা বাড়তে থাকে। দুই দিন পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। বিশ মিনিট পর এক ছেলে সন্তানের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়।
গণস্বাস্থ্য থেকে নব জাতকের নাম রাখা হয়েছে জয়। কক্সবাজার গণস্বাস্থ কেন্দ্রের ইনচার্জ জনাব আলী জানান, রোহিঙ্গারা এদেশে আসার পর থেকে রইক্ষ্যং অস্থায়ী ক্যাম্পে আমাদের চিকিৎসা টিম ও শুকনা খাবার অব্যাহত রয়েছে। এরইমেধ্য ২ হাজার ২ শ’ রোহিঙ্গা নাগরিককে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আরো ৭০ থেকে ৮০ জন সন্তান সম্ভবা মাকে ফলোআপ করা হচ্ছে।
০৮সেপ্টেম্বর ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর