নিউজ ডেস্ক : দেশের বহুল আলোচিত ব্লগার ও গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক অমি রহমান পিয়াল গত শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যাম মিয়ানমার নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। এতে তিনি ১৯৭১ সালে মিয়ানমার( বার্মা) ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন।
মিয়ানমার পাকিস্তানকে নানা ভাবে সাহায্য করেছে বিভিন্ন সময়ে সেসব কথা উঠে আসে তার ফেসবুক পোস্টে। নিচের লেখা স্টাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
‘১৯৭১ সালে বার্মা আমাদের মিত্রদেশ ছিলো না। সে বছর জানুয়ারিতে পাকিস্তানী মুজাহেদিনরা একটা ভারতীয় বিমান উড়িয়ে দেয়ার পর ভারত তাদের আকাশ সীমা পাকিস্তানের জন্য নিষিদ্ধ করে দেয়। সেসময় পাকিস্তানের সাহায্যে এগিয়ে আসে বার্মা। পাকিস্তানের যাবতীয় ফ্লাইট রেঙ্গুন হয়ে উড়াল দেয়ার অনুমোদন পায়।
মুক্তিযুদ্ধের অন্তিম লগ্নে চট্টগ্রাম বিভাগে থাকা পাকিস্তানী সেনাবাহিনী পালানোর জন্য আরাকানকে বেছে নেয়। ১৯৭১ সালের ২০ ডিসেম্বরের মার্কিন তারবার্তায় ২ ব্যাটেলিয়ন পাকিস্তানী সেনা পালিয়ে আরাকান যাওয়ার উল্লেখ আছে। এছাড়া ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর যুদ্ধবিরতির সুযোগ নিয়ে মেজর জেনারেল রহিমসহ কিছু পাকিস্তানী অফিসার ও তাদের পরিবার নিয়ে ঢাকা থেকে আকিয়াব উড়ে যায় কিছু পাকিস্তানী হেলিকপ্টার।
সেখান থেকে পাকিস্তানে ফিরে যায় তারা। ১৯৭৫ পর্যন্ত ফাসিতে ঝোলা যুদ্ধাপরাধী মুজাহিদের নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে তৎপরতা চালানো আলবদর সদস্যদের বেজক্যাম্প ছিলো আরাকানে। সেখানে তখনও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আনঅফিশিয়াল অবস্থান ছিলো ব্যাকাপ হিসেবে। এত ভূমিকার পেছনে কারণ আছে।
যখন এই মুহূর্তে আমরা রোহিঙ্গা শরনার্থী সমস্যায় হিমশিম খাচ্ছি তখন পাকিস্তান তাদের পুরানো সামরিক চুক্তি মেনে মায়ানমার বিমান বাহিনীকে আপগ্রেড করার উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশে পাকিপ্রেমী প্রচুর। আবার তারা রোহিঙ্গাদের জন্যও কাঁদেন।
আপনারা যদি আপনাদের ছেড়ে যাওয়া বাবাদের আন্তরিকভাবে অনুরোধ করেন রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে তারা হয়তো শুনবে। এই সংকট সমাধানে আমাদের সবার সহযোগিতা দরকার। আপনাদেরও…।’
এমটিনিউজ/এসএস