নিউজ ডেস্ক : জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইন বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবারের সংক্ষিপ্ত এই বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাভিশ কুমার বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকটি সৌজন্য সাক্ষাতের চেয়েও বেশি ছিল। তবে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কোনও আলোচনা করা হয়নি। এটা খুবই সংক্ষিপ্ত বৈঠক ছিল।’
এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক আদতে আমাদের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনের প্রতিফলন।’
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে রোববার নিউ ইয়র্ক পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে তার। সোমবার তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে জাতিসংঘ পুনর্গঠন সংশ্লিষ্ট একটি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
সোমবার জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থনিও গুয়েতেরেস অধিবেশনের সভাপতি মিরোস্লাভ লাজেক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ চার দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে স্বাগত জানান।
এসময় লৈঙ্গিক সমতা প্রতিষ্ঠা, নির্যাতন বন্ধে কী করা যায় সেই বিষয়ে শেখ হাসিনার মন্তব্য জানতে চান তারা। নিউ ইয়র্কে উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে মহাসচিব বলেন, কোনও দেশ বা পরিবারই নির্যাতন থেকে মুক্ত নয়। এটা একটি বৈশ্বিক সমস্যা।
তবে রোহিঙ্গা ইস্যু ঠিকই আলোচনায় ছিল। জাতিসংঘের মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হেলি জানান, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
জাতিসংঘের মতে, সহিংসতার শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে ৪ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
হেলি বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের খুবই কার্যকরী আলোচনা হয়েছে। তবে এখনও আমরা উন্নতির কথা বলতে পারছি না। এখনও সহিংসতার খবর আসছে আমাদের কাছে। মৃত্যুর আতঙ্কে আছেন অনেক মানুষ। ত্রাণ সংস্থাগুলো অসহায়দের কাছে পৌঁছাতে পারছে না। নির্দোষ বেসামারিকরা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশের দিকে ছুটছেন।’ বাংলা ট্রিবিউন
এমটিনিউজ/এসএস