নিউজ ডেস্ক : সু চির ভাষণ নিয়ে দেশ বিদেশে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। সু চির এই ভাষণ বাংলাদেশ ও বিশ্বকে কী বার্তা দিচ্ছে?
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিধন ও নীপড়ন নিয়ে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে কথা বললেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি। বিশ্ববাসীকে হুঙ্কার দিয়ে মিয়ানমারের ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) এই নেত্রী বললেন, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণকে পান না।
তবে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে সময় লাগবে বলেও জানান। ভাষণে আর কী কী বললেন নোবেল বিজয়ী মিয়ানমার নেত্রী সু চি? তার ভাষণের উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলো-
আমরা যুদ্ধ চাই না শান্তি চাই। সীমান্ত সুরক্ষায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চাই। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে চাই।
শরণার্থী হিসেবে যারা বাংলাদেশে গেছে যে কোনো সময় তাদের পরিচিতি পর্যবেক্ষণ করে ফিরিয়ে নিয়ে পুনর্বাসনে আমরা প্রস্তুত।
সকল সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মিয়ানমার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
অনেক মুসলমানের বাংলাদেশে চলে যাওয়ার ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। সহিংস ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার তদন্ত হবে।
মুসলমানদের সব বসতি নষ্ট হয় নি। কূটনীতিকদের পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানালেন।
আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হবে।
রাখাইনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণে আমাদের ভয় নেই।
কেন এতো মুসলমান তরুণ বাংলাদেশে যাচ্ছে আমরাও জানতে চাই।
অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ সবটাই শুনতে হবে।
রাখাইনে সব পক্ষের নিরাপত্তার পাশাপাশি শান্তি, স্থিতিশীলতা ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে।
জটিল সমস্যা সমাধানে ১৮ মাস বেশি সময় নয়। আমাদের গণতন্ত্র নতুন এবং ভঙ্গুর।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস