বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০১:২৮:১৩

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে চার দেশই ফ্যাক্টর

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে চার দেশই ফ্যাক্টর

নিউজ ডেস্ক : রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে প্রভাবশালী চার দেশই মূল ফ্যাক্টর। এই চার দেশ হল- চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত।

আর বাস্তব প্রেক্ষাপট এমন যে, বেশিরভাগ দেশও যদি রোহিঙ্গাদের পক্ষে অবস্থান নেয়, আর মিয়ানমারের পক্ষে থাকে শক্তিশালী এই চারটি দেশ; তাহলেও সংকটের সমাধান মিলবে না।

রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোসহ তাদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা বেশ কঠিন হবে। বলা যায়, এক রকম অসম্ভব ব্যাপার। বিপরীতে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদে নানামুখী ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

রোহিঙ্গা সংকট নিরসন প্রশ্নে এমন মন্তব্য করেন বিশিষ্ট কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের কয়েকজন।

তারা বলেন, সংকট নিরসন করতে হলে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে বিশেষ পরাশক্তি হিসেবে চিহ্নিত যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনসহ আমাদের বন্ধুপ্রতিম পার্শ্ববর্তী শক্তিশালী দেশ ভারতকে। এই চারটি দেশকে বাস্তবিক অর্থে পক্ষে আনার ওপর জোর দিতে হবে। বাড়াতে হবে কূটনৈতিক তৎপরতা। যদিও ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থে দেশ চারটি মিয়ানমার সরকারের স্বার্থকে বেশি প্রাধান্য দেবে। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সেই অবস্থান থেকে তাদেরকে কতটুকু নড়াতে পারবে তার ওপরই নির্ভর করছে এ সংকটের ভবিষ্যৎ উত্তরণ। তাই মুসলিম উম্মাহকে সঙ্গে নিয়ে অন্যান্য প্রভাবশালী দেশের ভয়েস রোহিঙ্গাদের পক্ষে আরও জোরালো করতে হবে।

উল্লিখিত চার দেশ রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে কতটা ফ্যাক্টর জানতে চাইলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের বলেন, ‘এখন তারাই ফ্যাক্টর হয়ে গেছে। তারা একই রকমের স্ট্যান্ড নিয়েছে। রাশিয়া একটু বেশি বেশি বলছে। অন্যরাও নিজেদের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে অবস্থান নিয়েছে। আমরা যত চেষ্টাই করি না কেন, এ অবস্থান যে সহজেই তারা পরিবর্তন করবে সেটাও মনে করি না।’ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের করণীয় কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারে গণহত্যা বন্ধ করতে তারা কিছুই বলছে না। কিন্তু তারা সুচির বক্তব্যকে সমর্থন করেছে। সুচি বলেছেন, ১৯৮২ সালের সমঝোতার আলোকে মিয়ানমার থেকে আসা লোকজনকে ফেরত নেবে। তাই আমাদের এখন এই দেশগুলোর কাছে এটাই বলা উচিত যে, রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে তারা যেন মিয়ানমারকে বলে। পাশাপাশি, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি রোহিঙ্গাদের পক্ষে কথা বলছে। তাদের সঙ্গে আমাদেরও বেশি করে কথা বলতে হবে। চীনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল গেছে। এটি ভালো উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে গেছেন। চার শক্তিশালী দেশসহ সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে এ ইস্যুতে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। এ ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই।’

জানতে চাইলে চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত আজিজুল হক  বলেন, ‘অবশ্যই চার শক্তিশালী দেশ ফ্যাক্টর। চীনের কথা যদি বলি, রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে প্রধানত দুই কারণে চীন মানবিকতার চেয়ে নিজেদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছে। প্রথমত, চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাংলাদেশের সম্পর্কের চেয়ে অনেক বেশি নিবিড়। চীন-মিয়ানমার সম্পর্কের গভীরতা অনেক বেশি। মিয়ানমারে চীনের অর্থনৈতিক অঞ্চল আছে। মিয়ানমার থেকে গ্যাস আমদানি করে চীন। মিয়ানমারে বন্দরসহ বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পে জড়িত চীন। মিয়ানমারে গণতন্ত্র আসার ফলে সেখানে অনেক অবকাঠামো প্রকল্প হবে, যার কাজ পাবে চীন। মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের অভিন্ন সীমান্ত আছে। দেশ দুটি পরস্পরের ভালো বন্ধু। এটা একটা কারণ।’

দ্বিতীয় কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব চীনের কাছে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। মিয়ানমারকে কাছে পেতে চায় আমেরিকা, ভারত, চীন সবাই। এ কারণে ওবামা মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালে মিয়ানমার গেছেন। বাংলাদেশ সফরে আসেননি। এরা সবাই মনে করে, মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হলে প্রতিদ্বন্দ্বীরা লাভবান হবে। ফলে রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণ ওদের কাছে নিজেদের স্বার্থের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। এ কারণে চীন মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এমন কিছু বলবে না যাতে তাদের মধ্যকার সম্পর্ক খারাপ হয়।’

সাবেক এই মেধাবী কূটনীতিক বলেন, ‘একই কারণে ভারত প্রথমে মিয়ানমারের সঙ্গে বিরোধে যায়নি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি মিয়ানমার সফরে গিয়ে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের পক্ষে বলেছেন। এই অবস্থান কিন্তু চীনের চেয়েও খারাপ ছিল। পরে অবশ্য পরস্পরের হাইকমিশনাররা দৌড়ঝাঁপ করে তা পরিবর্তন করেছেন। ক্ষত সারাতে ভারত ত্রাণও পাঠিয়েছে। কিন্তু প্রথমে যা ছিল সেটা চীনের চেয়েও খারাপ ছিল।’

আজিজুল হক বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর কোনো ভরসা রাখা যায় না। তার মতের কোনো ঠিক নেই। তবুও যুক্তরাষ্ট্র যদি রোহিঙ্গা ইস্যুতে নিরপেক্ষও থাকে সেটা হলেও চলবে। এটা মনে হয় থাকবে। আমাদেরকে চীন ও রাশিয়ায় কূটনৈতিক তৎপরতা বেগবান করতে হবে। কারণ কূটনীতিতে পর্দার আড়ালে অনেক কাজ হয়। তাদের বোঝাতে হবে প্রকাশ্যে না হলেও গোপনে মিয়ানমারকে যেন বুঝিয়ে বলে যে, রোহিঙ্গাদের হত্যা বন্ধ করতে হবে। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে।’

রাশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত আবদুল হান্নান বিষয়টি সম্পর্কে বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট নিরসনের লক্ষ্যে শক্তিশালী দেশগুলোকে আমাদের পক্ষে আনতে হবে। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেয়ার প্রশ্নে রাশিয়া তার কৌশলগত বিবেচনা, নিজস্ব স্বার্থ, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ইস্যু এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটকে বিবেচনায় নেবে। তবে এটাও ঠিক যে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার নিন্দা এবং নিরাপত্তা অভিযানে মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগ বন্ধের আহ্বান সংবলিত বিবৃতি সম্পর্কে আপত্তি করেনি। সর্বসম্মতিতে বিবৃতি দেয়া হয়। ইতিপূর্বে গত মে মাসে নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা সংক্রান্ত বিবৃতিতে চীন আপত্তি করেছিল। এক সপ্তাহ আগে এবার কেউ আপত্তি করেনি। ফলে তাদের কাছে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে উদ্বেগ আছে।’ তিনি বলেন, ‘এই সংকট নিরসন হওয়া উচিত বলে রাশিয়া মনে করছে। জাতিসংঘে এই ইস্যুতে বিশ্ব জনমত গড়ে উঠেছে। জাতিসংঘ মহাসচিব, জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল, ওআইসি, বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠী সব জায়গাতেই রোহিঙ্গাদের বিষয়টাকে মানবাধিকার ও মানবিক সংকট বলে স্বীকৃত হয়েছে। ফলে মিয়ানমারের ওপর যে বিশ্বজুড়ে অসম্ভব চাপের সৃষ্টি হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এই চাপ ধরে রাখতে হবে।’

সাবেক রাষ্ট্রদূত আবদুল হান্নান আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মানবতার ডাকে সাড়া দিয়েছে বাংলাদেশ। সে জন্য বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের প্রশংসা করা হয়েছে। কিন্তু প্রায় ১০ লাখের মতো বিপুল সংখ্যক মানুষকে খাদ্য, আশ্রয়, শিক্ষা, চিকিৎসা দেয়া বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা নিজেদের জনগোষ্ঠীকেই বিনামূল্যে এসব সুবিধা দিতে পারি না।’

এই সাবেক রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘এ অবস্থায় বিশ্বের সবার সঙ্গে বাংলাদেশের যুক্ত থাকতে হবে। মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে হবে। ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্য মিয়ানমারের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা স্থগিত করেছে। মিয়ানমারের ওপর এই চাপ ধরে রাখতে হবে। এটা ধরে না রাখলে রোহিঙ্গা সংকট চাপা পড়ে যেতে পারে।’ তিনি হুশিয়ার করে দিয়ে বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট রাতারাতি সমাধান হওয়া সম্ভব নয়। এই সংকট দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। কারণ সুচির কাছ থেকে সমাধান কিছুই পাওয়া যায়নি।’

এদিকে বুধবার ঢাকায় এক সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমএম আকাশ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ভূ-রাজনৈতিক কারণে রোহিঙ্গার ঘটনা বিরাট সংকটে পরিণত হতে পারে। বিশ্বব্যাপী যে সব বৃহৎ শক্তিগুলো পরস্পর দ্বন্দ্বে লিপ্ত তারা এ ঘটনাকে ব্যবহার করে অস্ত্র বিক্রি ও বার্মার রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় সম্পদের ওপর নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার চেষ্টা করতে পারে। তখন রোহিঙ্গা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের পরিবর্তে দীর্ঘস্থায়ী নিরাপত্তার সমস্যা উদ্ভব হতে পারে। তাই রোহিঙ্গাদের কেউ যাতে জঙ্গিবাদে ব্যবহার করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেন তিনি। রোহিঙ্গাদের ওপর নিষ্ঠুরতাকে ‘জাতিগত নিধনের পাঠ্যবই উদাহরণ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার প্রধান। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস রাখাইনে অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্যিক সহযোগিতা বন্ধে সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ওআইসি। যুক্তরাজ্য মিয়ানমারে সামরিক সহযোগিতা বন্ধ করে দিয়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের হুমকি দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো মিয়ানমারের প্রতি ধিক্কার জানিয়েছে। বিশ্বব্যাপী সাধারণ মানুষ রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন। কিন্তু মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে রোহিঙ্গা সংকটকে পাশ কাটিয়ে বলেছেন, কিছুসংখ্যক মুসলমান কেন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন তা তিনি জানেন না, যা সত্যিই বিস্ময়কর।

রাখাইনে সেনাবাহিনীর গণহত্যা চলাকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মিয়ানমার সফরকালে অং সান সুচির সঙ্গে বৈঠকে করে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত মিয়ানমারের পক্ষে থাকবে বলে জানান। কূটনৈতিক তৎপরতার পর অবশ্য ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ টেলিফোনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানান যে, এ ইস্যুতে ভারত বাংলাদেশের পাশে থাকবে। তবে মঙ্গলবার সুচির ভাষণের পর মিয়ানমারে ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিসরি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সুচির ভাষণে ইতিবাচক বার্তা রয়েছে। মিয়ানমার যেভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে তাতে আমার মনে হয় সবার প্রশংসা করা উচিত।’ এ বক্তব্য থেকেই মিয়ানমারের প্রতি ভারত সরকারের প্রকৃত অবস্থান আরও স্পষ্ট হয়েছে।

অপরদিকে চীন ও রাশিয়া শুরু থেকেই মিয়ানমারের পক্ষে ছিল। গত মে মাসে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এক বৈঠকে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সহিংসতার নিন্দা জানানোর এক প্রস্তাবে আপত্তি জানায় চীন। ওই আপত্তির পক্ষে রাশিয়ারও সমর্থন ছিল। ওদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বরাবরই শরণার্থী গ্রহণের বিপক্ষে। ট্রাম্পের সঙ্গে সোমবার সংক্ষিপ্ত আলাপচারিতার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশি গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেন, ট্রাম্পের কাছ থেকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোনো প্রত্যাশা নেই।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের ৩০টি নিরাপত্তা চৌকিতে একযোগে জঙ্গি হামলায় দেশটির ১১ জন পুলিশ নিহত হন। তারপর মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে অভিযান শুরু করে। এ অভিযানে তিন হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও তাদের সহায়তায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উগ্রপন্থীরা রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ ও বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই নিষ্ঠুরতার কারণে চার লাখ ২১ হাজার রোহিঙ্গা নতুন করে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বাংলাদেশে আগে থেকেই চার লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। এখন যা ১০ লাখে উন্নীত হওয়ার পথে। এমনটিই আশঙ্কা করেছে জাতিসংঘ উদ্বাস্তু সংস্থা।-যুগান্তর
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে