শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৬:২৪:৪০

‘দুর্গাপূজায় খরচ বাঁচিয়ে রোহিঙ্গাদের সহায়তা করা হবে’

‘দুর্গাপূজায় খরচ বাঁচিয়ে রোহিঙ্গাদের সহায়তা করা হবে’

নিউজ ডেস্ক : দুর্গাপূজায় উৎসবের খরচ বাঁচিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা করা হবে। সারাদেশের পূজা কমিটিগুলোকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।

শুক্রবার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে সংগঠনটি। সংবাদ সম্মেলনে মূল লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাপস কুমার পাল।  

এতে অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত সেন দীপু, স্বপন কুমার সাহা, কাজল দেবনাথ, বাসুদেব ধর, সাবিত্রী ভট্টাচায নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, বাবুল দেবনাথ, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি ডি এন চ্যাটার্জি ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ্যামল কুমার রায় প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এবার পূজামণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে। সারাদেশে পুজোর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ৭৭টি। গতবছর এ সংখ্যা ছিল ২৯ হাজার ৩৯৫টি। গতবারের তুলনায় বেশি ৬৮২টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

রাজধানী ঢাকায় এবার পুজো হচ্ছে ২৩১টি, গতবছর এই সংখ্যা ছিল ২২৯। এবছর সবচাইতে বেশি পুজো হচ্ছে চট্টগ্রামে, ১ হাজার ৭৬৭টি। এর পরে দিনাজপুরে ১ হাজার ২৪২। গোপালগঞ্জে পুজো হচ্ছে ১ হাজার ১৭৫টি।  

নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের সার্বিক অবস্থার প্রেক্ষিতে দেশের সকল পূজা মণ্ডপকে অধিকতর সতর্ক এবং সংযত থাকার নির্দেশ প্রদান করেছে পূজা উদযাপন পরিষদ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পুলিশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দের। তারা পুজোয় পূর্ণ নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন।  

তারা বলেন, আমরা মনে করি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষ যদি অসুরের বিরুদ্ধে এক হয়ে দাঁড়ান, অসুরশক্তি নির্মূল কঠিন কিছু নয়। দুর্গাপূজা এই বার্তাই বহন করে। বিজয়া দশমীর পরদিন আশুরা উদযাপিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে বক্তব্যে বলা হয়, পরিষদ যথানিয়মে বিজয়া দশমীর দিন শোভাযাত্রা সহকারে প্রতিমা বিসর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সম্মেলনে রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যার কথা উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে এক ভয়াবহ অমানবিক সমস্যার সন্মুখিন হয়েছে। পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দুর্গাপূজায় উৎসবের খরচ বাঁচিয়ে শরণার্থীদের সহায়তা করা হবে। সারাদেশে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয়া হয়েছে পূজা কমিটিগুলোকে।  

এ ছাড়াও সন্মেলনে শারদীয় দুর্গাপূজায় তিনদিনের ছুটি ঘোষণা, দূর্গোৎসবে বঙ্গভবন, গণভবন, নগরভবন এবং জেলা পর্যায়ে সরকারি ভবনসমূহে আলোকসজ্জা, দেশের সকল কারাগারে পুজোর দিনগুলোতে উন্নত খাবার পরিবেশন, ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বাতিল করে হিন্দু ফাউন্ডেশন গঠন, দুর্গাপূজোয় সকল স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষাসহ সকল নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ রাখা এবং পুজো মন্ডপে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়।

এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে