নিউজ ডেস্ক : রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত ও চীন যা বলছে, তা বাংলাদেশের কাছে বিবেচ্য নয়। তাদের (ভারত ও চীন) কূটনীতিকেরা রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দেখেছেন এবং আমরা দেখেছি যে, রোহিঙ্গাদের প্রতি তারা অত্যন্ত সহানুভূতিশীল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। মানবিক সহায়তা নিয়ে ভারত ও চীন এগিয়ে এসেছে এবং তারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী পাঠাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা সব ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, শরণার্থীদের দুর্দশা দেখতে ঢাকায় অবস্থানরত সব কূটনীতিকেরা কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের শিবিরে গিয়েছেন। তারা তাদের (রোহিঙ্গা) সঙ্গে কথা বলেছেন। ...তারা সবাই রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতিশীল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের আট লাখ নাগরিককে আশ্রয় দেওয়ার পর খাদ্য, বাসস্থান, জরুরি ত্রাণ এবং তাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশকে জটিল সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে তার বৈঠকের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি (আন্তোনিও গুতেরেস) তাদের (রোহিঙ্গা) খারাপ সময়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিনি (জাতিসংঘের মহাসচিব) আরও বলেছেন, এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে তিনি তার পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সবকিছু করবেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনটি পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
এমটিনিউজ/এসএস