সংলাপের কথা চিন্তা করে লাভ নেই: ওবায়দুল
ঢাকা: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিদেশের মাটিতে বসে সেন্সলেস পলিটিক্স করে সংলাপের কথা চিন্তা করে লাভ নেই। সংলাপ করতে হলে একটা পরিবেশ লাগে, যোগ্যতা লাগে, শক্তি লাগে। দেশের বাইরে বসে শব্দ বোমা নিক্ষেপ করে সে সাহস ও যোগ্যতার প্রমাণ রাখা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সদস্য ২২ লেখককে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আজ শুক্রবার এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যখন সৃজনশীলতা, মননশীলতা ও নান্দনিকতা ঘাতকের থাবায় আক্রান্ত হচ্ছে তখন ডিআরইউ সাংবাদিকদের সৃজনশীলতার জন্য এ সম্মাননা প্রদান করছে। সুতরাং এর উদ্দেশ্য পরিষ্কার।
তিনি বলেন, লেখক-প্রকাশককে হত্যা করে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে সংলাপের পথ ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ দেশ আফগানিস্তান বা পাকিস্তান নয় যে ইচ্ছে করলেই যা কিছু করা সম্ভব। এটা বাংলাদেশে। এই দেশ বীরত্ব দিয়ে স্বাধীন হয়েছে। যে দেশের মাটিতে মিশে আছে লাখ শহীদের রক্ত সে দেশকে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে পরিণত করার চিন্তা মানে বোকার স্বর্গে বাস করা। জাতীয় প্রেসক্লাব ও ডিআরইউর তুলনা করে মন্ত্রী বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবে বর্তমান রাজনীতিক দলের মতোই বিভাজনের দেয়াল উঠেছে। কিন্তু ডিআরইউতে এখনও সেটা হচ্ছে না। কারণ এখানে আদর্শগত মতান্তর আছে কিন্তু মনান্তর নেই।
সভাপতির বক্তব্যের শুরুতেই সাখাওয়াত হোসেন বাদশা সহসভাপতি রফিকল ইসলাম আজাদের প্রস্তাবের সমর্থন করে বলেন, আগামীবার থেকে শুধু সম্মাননা প্রদান নয়। লেখকদের পাণ্ডুলিপি নির্বাচন করে সেটি প্রকাশ করার ব্যবস্থা করা হবে। গণমাধ্যমের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, শুধু লেখক-প্রকাশক নয় সাংবাদিকরাও নানা সময়ে ঘাতকের আঘাতের স্বীকার হচ্ছে। সাগর-রুনি হত্যার বিচারের পরিবর্তে ক্রমশ এটিকে মুছে ফেলা হচ্ছে। এ বিচার যদি হতো দৃর্বৃত্তদের এই ধারাবাহিকতা থাকতো না।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম এমপি। ডিআরইউ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদসহ কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ।
৬ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ