শুক্রবার, ০৬ নভেম্বর, ২০১৫, ০৪:০৩:১২

এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতি তুরিন আফরোজের হুঁশিয়ারি

এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতি তুরিন আফরোজের হুঁশিয়ারি

ঢাকা: আন্তর্জাতিক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ও সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সদস্য ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেছেন, মানবাধিকার সংস্থা এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল (আইএ) মুক্তিযোদ্ধাদের বিচার চেয়ে বিবৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ধৃষ্টতার সীমা ছাড়িয়েছে। তিনি আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স রুমে মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধ বিচারের বিরুদ্ধে আইএর প্রচারণার বিরুদ্ধে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। তুরিন আফেরোজ বলেন, এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ধৃষ্টতা ছাড়িয়েছে। তারা মুক্তিযোদ্ধারে বিচার চেয়েছে। যারা আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জীবন বাজি রেখে ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছেন। এটি একটি স্বীকৃত অধিকার। তিনি বলেন, স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে বিচার হচ্ছে, তার আর প্রমাণ দেওয়ারও প্রয়োজন নেই। আন্তর্জাতিক মহল আজ স্বীকার করে, বাংলাদেশ এ বিচারের মাধ্যমে নিদর্শন স্থাপন করেছে। এরপরও তারা বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মহলকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। এটি জঘন্য প্রয়াসমাত্র। তারা যদি মনে করে এ বিচারে কোনো ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, তাহলে আদালতের পথ খোলা রয়েছে, আইন আছে, তারা যেতে পারেন। তিনি আরও বলেন, মানবাধিকার রক্ষার দায়িত্ব শুধু রাষ্ট্র ও ব্যক্তির নয়, আন্তর্জাতিক মহলেরও রয়েছে। তারা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চর্চা ও মানবাধিকর নিয়ে কথা বলবে- এটা আমাদের প্রত্যাশা। তবে যে বিচার হচ্ছে, তা নিয়ে কোনো গঠনমূলক সমালোচনা করে থাকলে তাতে কিছু বলবার নেই। বরং উপকৃত হবো, বিচার প্রকিয়াকে সুন্দরভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য। কিন্তু যদি তাদের বক্তব্য স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার ওপর অপ্রয়োজনীয় হস্তপেক্ষপ বলে মনে হয়, তবে অবশ্যই আমরা বিরোধিতা ও প্রতিবাদ করব। সে ধারাবাহিকতায় সেক্টর ফোরাম তাদের বিবৃতির প্রতিবাদ জানিয়েছে। তিনি বলেন, এ্যামনেস্টি যুদ্ধাপরাধীদের মানুষ বলে মনে করে, কিন্তু ৩০ লাখ শহীদ, চার থেকে পাঁচ লাখ বীরঙ্গণাকে মানুষ বলে মনে করে না। তিনি বলেন, যখন পেট্রোল বোমায় সাধারণ মানুষ মারা যায়, তখন তাদের কোনো জোরালো বক্তব্য দেখতে পাওয়া যায় না। ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের ওপর হামলা হয়, সেটি তারা মানবিধকার লঙ্ঘন বলে মনে করে না। তাদের একপেশে মানবাধিকার চর্চার আমরা প্রতিবাদ জানায়। ৪ নভেম্বর সেক্টর ফোরামের পক্ষ থেকে আইএর সেক্রেটারি জেনারেল বরাবর একটি প্রতিবাদ লিপি পাঠানো হয়। সেখানে তাদের বিবৃতি প্রত্যাহার ও সংশোধনের দাবি জানানো হয়। ৬ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে