বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১১:৫৫:১৮

নেকাব পরায় ৪ ছাত্রীকে ক্লাস করতে দেননি শিক্ষিকা

নেকাব পরায় ৪ ছাত্রীকে ক্লাস করতে দেননি শিক্ষিকা

জাবি : নেকাব পরায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) চার ছাত্রীকে ক্লাস করতে দিলেন না প্রাণিবিদ্যা বিভাগের এক শিক্ষিকা।  বের করে দেয়া চার ছাত্রীর বক্তব্য, ছোটবেলা থেকে তারা পারিবারিকভাবে নেবাকসহ ‘পর্দা’ করে আসছেন।  শিক্ষিকার বক্তব্য, নেকাবের কারণে শিক্ষার্থীদের অভিব্যক্তি বুঝতে সমস্যা হয়।     

ওই বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার প্রাণিবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের চার ছাত্রী নেকাব পরে ক্লাসে আসে।  ওই বিভাগের প্রভাষক সামিয়া ফারহানা সুমা তাদের নেকাব পরার অপরাধে ক্লাস থেকে বের করে দেন।  পরে তাদের ক্লাসে নেকাব পরে আসতে নিষেধ করেন।

জানা গেছে, এরপর গত মঙ্গলবার তারা আবারো নেকাব পরে ওই শিক্ষিকার ক্লাস করতে আসেন।  এতে ওই শিক্ষিকা ক্লাসে তাদের নির্লজ্জ, বেয়াদব, বেহায়া বলে সম্বোধন করেন।  বলেন, তোমাদের জন্য ক্লাসের শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে।  নিষেধ করা সত্ত্বেও কেন তোমরা আবার নেকাব পরে এসেছো।  ওই চার শিক্ষার্থীকে গালিগালাজ করারও অভিযোগ রয়েছে।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর একটি অভিযোগপত্র পাঠানোর জন্য তা বিভাগীয় সভাপতির কাছে দেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আমরা মুসলিম পরিবারের মেয়ে।  ছোটবেলা থেকে পারিবারিকভাবে নেবাকসহ পর্দা করে আসছি।  নেকাব পরার জন্য এখনো পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো ধরনের বাধার সম্মুখীন হইনি।  বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো পর্যন্ত আমরা স্বাধীনভাবে নেকাব পরে পর্দা রক্ষা করে আসছি।  

এতে বলা হয়েছে, কিন্তু দুঃখের বিষয়- সামিয়া ফারহানা ম্যাম (ম্যাডাম) দুইদিন আমাদের নেকাব খুলতে বাধ্য করেন।  তার চাপে আমরা নেকাব খুলে ক্লাস করতে বাধ্য হয়েছি।  এ ঘটনায় আমরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।

এ ব্যাপারে শিক্ষিকা সামিয়া ফারহান সুমা গণমাধ্যমকে বলেন, অভিব্যক্তি বুঝতে সমস্যা হওয়ার কারণে তাদের ক্লাসে নেকাব খুলে রাখতে বলেছি।  কিন্তু তারা সব সময় আমার কথা ডিনাই করে আসছে।  শিক্ষার্থীদের গালিগালাজ করার বিষয়টি সঠিক নয়।
১৬ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে