শনিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০১৫, ০৮:০৩:৩৬

বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে আগ্রহী সুইডেনও

বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে আগ্রহী সুইডেনও

নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে আগ্রহ দেখিয়েছে সুইডেন। দেশটির প্রতিষ্ঠান এএফ কনসাল্ট সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী কাছে লেখা এক চিঠিতে এ প্রস্তাব দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কেন্দ্র নির্মাণে সহযোগিতা করবে বলে প্রস্তবে জানিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে রাশিয়ার সহযোগিতায় দুই হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কার্যক্রম চলছে। এ কেন্দ্রটি পাবনার রূপপুরে স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়া চীনও পারমাণবিক প্রকল্পে সহায়তায় আগ্রহ দেখিয়েছে। সরকারও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে খুলনার লবণচরাকে প্রকল্প স্থান হিসেবে ধরা হচ্ছে। এএফ কনসাল্টের প্রস্তাব থেকে জানা গেছে, তারা প্রাক সম্ভাব্যতা যাচাই, সম্ভাব্যতা যাচাই, বিশদ নকশা, নির্মাণ, পরিচালনা, জ্বালানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, মানবসম্পদ প্রশিক্ষণসহ সব কাজেই সহযোগিতা করবে। আন্তর্জাতিক আণবিক কমিশনের (আইএইএ) অনুমোদন গ্রহণের ব্যবস্থাও তারা করে দেবে। বাংলাদেশ চাইলে অর্থ জোগাড়েও এএফ সহযোগিতা করবে। এএফ বলছে, প্রকল্প বাস্তবায়নে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (১২ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা) ব্যয় হতে পারে। প্রকল্পের জন্য নদী বা সাগর তীরবর্তী ১০০ থেকে ১২০ হেক্টর জমি প্রয়োজন হবে। চিঠিতে বলা হয়েছে, বিদ্যুতের দাম প্রাথমিকভাবে ইউনিট প্রতি ৬ টাকা হতে পারে। এ দামে ৪৫ বছরে পুরো বিনিয়োগ উঠে আসবে বলে জানানো হয়েছে। তবে বিনিয়োগ ফেরত পেতে না চাইলে বিদ্যুতের দাম অনেক কম হতে পারে বলে জানানো হয়। উল্লেখ্য : ১৯৬১ সালে পাক আমলে পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর পদ্মার তীরঘেষে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তখন ঈশ্বরদী উপজেলার পদ্মা নদীর তীরে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের প্রায় এক হাজার মিটার পূর্ব-দক্ষিণ কোনে এ প্রকল্প স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। এ জন্য তৎকালীন সরকার ২৫৯ দশমিক ৯০ একর জমি অধিগ্রহণ করে। ওই সময় প্রকল্পের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ৩৫ লাখ টাকায় কোয়ার্টার নির্মাণ করা হয়। সুদীর্ঘ সময়ে প্রায় ৪৯ বছর এ প্রকল্পটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে কানাডা, সুইডেন, নরওয়ে, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে। ১৯৬৩ সালে ৭০ মেগাওয়াট পারমানবিক চুল্লি স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। ১৯৬৪ সালে কানাডা সরকারের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে আলোচনা হয়। ১৯৬৬ সালে কানাডা, সুইডেন ও নরওয়ের সঙ্গে আলোচনা হয় ১৪০ মেগাওয়াট পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের। ১৯৭৩ সালে ২০০ মেগাওয়াট পারমানবিক চুল্লি স্থাপনের জন্য রাশিয়র সঙ্গে আলোচনা হয়। পরে বিভিন্ন সরকারের সময় এ নিয়ে আলোচনা হলেও কার্যকর কিছু হয়নি। অবশেষে এ সরকারের আমলে গতবছর জানুয়ারিতে কারিগরি সহযোগিতার বিষয়ে কাঠামো চুক্তি হয়। ৭ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে