রবিবার, ০৮ নভেম্বর, ২০১৫, ০১:৫৩:৫৪

পৈশাচিক দুই হত্যা মামলার রায় আজ

পৈশাচিক দুই হত্যা মামলার রায় আজ

নিউজ ডেস্ক : চার মাস আগে ৮ জুলাই সিলেট নগরীর কুমারগাঁওয়ে শিশু সামিউল আলম রাজনকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। নির্যাতনের ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে পড়লে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। প্রতিবাদে বিস্ফোরিত হয়ে ওঠে গোটা দেশ। ঘটনার তীব্রতায় বাধ্য হয়ে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। জনতার স্বতঃস্ফূর্ত সহায়তায় একে একে গ্রেফতার হয় রাজনের ঘাতকরা। বহুল আলোচিত এই রাজন হত্যা মামলার রায় আজ রোববার ঘোষণা করা হবে। গত ২৭ অক্টোবর সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা এই রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন। এদিকে খুলনার টুটপাড়া সেন্ট্রাল রোডের শিশু রাকিব হত্যা মামলার রায়ও আজ ঘোষিত হচ্ছে। রাকিবের মলদ্বার দিয়ে হাওয়া ঢুকিয়ে নিষ্ঠুরতার চরম প্রদর্শনী করেছিল ঘাতকরা। খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলরুবা খান রাকিব হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করবেন। দুটি ঘটনাই বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত হত্যা মামলার অন্যতম। দুটি ঘটনাই নির্মমতর, নিষ্ঠুরতর। দুটি ঘটনারই শিকার দুই নিষ্পাপ শিশু। দুটি ঘটনাতেই ঘাতকরা উন্মত্ত বুনো জন্তুর মতো ধীরে ধীরে, ঠান্ডা মাথায় উপভোগ করতে করতে ভয়ানক নির্যাতন করে খুন করেছে দুই শিশুকে। ৮ জুলাই রাজন হত্যাকাণ্ড নিয়ে যখন দেশ-বিদেশে তোলপাড় চলছে, যখন মানবতার চরম পরাজয়ে হতবাক বিবেকমান মানুষ, ঠিক ওই সময়েই, মাসখানেকও যায়নি, ৩ আগস্ট ঘাতকদের বুনো হিংস্রতার শিকার হয় রাকিব। ‘চুরির’ অপবাদ দিয়ে ধীরস্থীরে, হাসিঠাট্টায় মেতে পিটাতে পিটাতে খুন করা হয় রাজনকে। পানি খেতে চাইলে বলা হয়, ‘ঘাম খা’! আর রাকিবকে ডেকে নিয়ে বিবস্ত্র করে কমপ্রেসার মেশিনের পাইপ দিয়ে মলদ্বারে হাওয়া ঢুকিয়ে দেয়া হয়। হাওয়ার অত্যাধিক চাপে চটফট করতে থাকে রাকিব। তবু থামেনি ঘাতক মো. শরিফ, মিন্টু খান ও বিউটি বেগম। হাওয়ার চাপে রাকিবের নাড়িভুড়ি, ফুসফুস ফেটে যায়। এক পর্যায়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে রাকিব। পিঠাপিঠি সময়ে এই দুই জঘন্য হত্যাকা- নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। রাজপথে নামে বিবেকবান জনতা। দাবি জানায়, ঘাতকদের সর্বোচ্চ শাস্তির। জনতার সহায়তাতেই রাজনের ১১ ঘাতক (অভিযুক্ত ১৩ জনের মধ্যে ২ জন পলাতক) যেমন ধরা পড়ে, তেমনি রাকিবের হত্যাকারীদের ধরে পুলিশে দেয় জনতা। রাজন হত্যাকাণ্ডের ৪ মাসের মাথায় ঘোষিত হচ্ছে রায়। অন্যদিকে রাকিব হত্যা মামলার ৩ মাসের মাথায় রায় দেওয়া হচ্ছে। আজ রোববার গোটা বাংলাদেশের মানুষ দেশের দুই আদালতের দিকে চেয়ে আছে। আজ দেশবাসী বিনীতচিত্তে ফাঁসি চাইছে ঘাতকদের। সবার একটাই দাবি, শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে আজ হোক দৃষ্টান্তের দিন। ০৮ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/পিবি/পিপি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে