ফুটপাত দখল করে চাঁদাবাজি
নিউজ ডেস্ক: পুরান ঢাকার কবি নজরুল সরকারি কলেজের সামনের ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের উপর । এখানে এখন গড়ে উঠেছে প্রায় ৩০টি চায়ের দোকান। এসব দোকান থেকে প্রতি মাসে চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ আছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীদের অভিযোগ, কলেজের সামনের ফুটপাতে দোকান থাকায় বাধ্য হয়ে সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে হাঁটছে পথচারীরা৷ এ ছাড়া ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে থাকায় তা উচ্ছেদ করতে পারছে না ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৪২ নম্বর ওয়ার্ড। কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে অবস্থিত ইসলামিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়।
দোকানগুলো ছাত্রলীগ-নিয়ন্ত্রিত কি না, তা জানতে চাইলে ডিএসসিসির ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ সেলিম বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, কিছু সমস্যা থাকায় এসব দোকান উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না। তা উচ্ছেদ করতে পারলে পথচারীদের চলাচলে সুবিধা হতো।
ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের পশ্চিম পাশ থেকে সিটি করপোরেশন মার্কেট পর্যন্ত কবি নজরুল কলেজের সামনের ফুটপাতে আছে ৩০টি দোকান। অধিকাংশই চায়ের। কয়েকটি দোকানের সামনে রাখা আছে বসার বেঞ্চ। দোকানের বর্জ্য ফুটপাতে ছড়িয়ে আছে। ফলে সড়ক দিয়ে চলাচল করছে পথচারীরা।
কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু নেতা ও দোকানি বলেন, পাঁচ থেকে ছয় বছর আগে কলেজ ফটকের দুই পাশের ফুটপাতে দোকান ছিল চার থেকে পাঁচটি। পরে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কতিপয় নেতা-কর্মীর সহযোগিতায় ক্রমান্বয়ে তা বাড়তে থাকে। এসব দোকান থেকে ভাড়া বাবদ মাসে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা তোলা হয়। এ ছাড়া ঢাকা গভর্নমেন্ট মুসলিম হাইস্কুল ও সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুলের সামনের ফুটপাতে আরও প্রায় ১৫ থেকে ২০টি অস্থায়ী দোকান রয়েছে। এসব দোকান থেকেও চাঁদা আদায় করা হয়।
কবি নজরুল কলেজের সামনের সড়ক দিয়ে পঞ্চম শ্রেণিপড়ুয়া ছেলে নাহিদ হাসানকে সঙ্গে নিয়ে স্কুল থেকে বাসায় ফিরছিলেন নাজমা বেগম। তিনি বলেন, পুরান ঢাকার রাস্তার এমনিতেই প্রশস্ততা কম। তারপরও ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে দোকান। প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে বাচ্চাকে নিয়ে সড়ক দিয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে।
ডিএসসিসির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ছাত্রলীগের বাধার কারণে কলেজের সামনের ফুটপাত থেকে এসব দোকান উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না৷
অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মামুনুর রশীদ বলেন, ‘স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী কলেজের সামনে দোকান বসাইছে। দোকান থেকে আমরা কোনো টাকা নিই না।
০৮ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/পিবি/পিপি