রবিবার, ০৮ নভেম্বর, ২০১৫, ০১:৩৭:২৯

রাজন হত্যায় কামরুলের ফাঁসি হওয়ায় দারুণ খুশি বাঘার সেই যুবক

রাজন হত্যায় কামরুলের ফাঁসি হওয়ায় দারুণ খুশি বাঘার সেই যুবক

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের আলোচিত শিশু রাজন হত্যা মামলায় চারজনকে ফাঁসির আদেশ প্রদান করেছেন আদালত। আজ সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালত এ রায় প্রদান করেন। রায়ে প্রধান আসামী কামরুলসহ চারজনকে ফাঁসি ও তিনজনকে খালাস প্রদান করেছেন আদালত। অন্যদিকে খূলনার শিশু রাকিব হত্যা মামলায় দুই জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। আদালতে এ রায়ে দারুণ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন রাজশাহীর বাঘার সৃজনশীল আন্দোলনের প্রথিকৃত জুবায়ের আল মাহমুদ রাসেল। মামলার রায় পরবর্তি এক তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘রাজনকে হত্যাকরীদের ফাঁসির আদেশ হওয়ায় দেশবাসী ন্যায় বিচার পেয়েছে। এর জন্য আদালতকে অনেক ধন্যবাদ।’ প্রসঙ্গত, ফেসবুকের প্রোফাইলে অধিকাংশ মানুষই তার প্রিয় মুহুর্তের কোন ছবি কিংবা নিজের সবচেয়ে ভাল ছবিটি দিয়ে থাকে। কিন্তু রাসেল তার ফেসবুকের প্রোফাইলে নিজের ছবি না দিয়ে রাজনের কান্না মাখা মুখটির ছবি দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাসেল সেই সময় জানিয়েছিলেন, ‘যত দিন আমার বাংলাদেশের মাটিতে রাজনকে যারা হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা না হবে, ততদিন আমার প্রোফাইলে এই ছবি থাকবে। কারণ রাজনের কান্না শোনার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের দেশকে স্বাধীন করেনি।’ আর সে কারণে রাসেল সে সময় সরকারের কাছে দাবী জানিয়ে বলেন, ‘শুধু রাজন নয়, সিলেটের ওই নিস্বংশ হত্যাযজ্ঞের পর খুলনা ও নাটোরের বড়াইগ্রামেও শিশুদের উপর বর্বর নির্যাতনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি কার্যকর করতেই হবে। তা না হলে বাঙালী হিসেবে আমাদের মাথা আরো নিচু হয়ে যাবে। রাজনহত্যার মুল আসামীকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য সৌদি প্রবাসিদেরকেও ধন্যবাদ জানান তিনি। সে কারণেই মূলত, মাত্র তিন মাসের মাথায় রাজন ও রাকিব হত্যার প্রত্যাশিত রায় পেয়ে সমস্ত দেশবাসীর সঙ্গে তিনিও দারুণ খুশি এবং উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। শুধু প্রোফাইল পিকচার নয়, নওগাঁ-রাজশাহী মহসড়কের দুই ধারে গহর আলী নামের শত বর্ষ বয়সি যে বৃদ্ধ ১২ হাজার তাল গাছ লাগিয়েছেন, সেই বৃদ্ধকে সম্মান জানিয়ে সৃজনশীল এই যুবক তার কাভার ফোটেতে সেই বৃদ্ধের ছবি আপলোড করেছেন। প্রসঙ্গত, বাঘার ওই যুবক স্কুল ভিত্তিক লাইব্রেরী গড়া ও বইপড়া কর্মসূচী পরিচালনা এবং বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বনে পরিণত করার লক্ষ্যে ২০১০ থেকে সৃজনশীল মানুষ গড়র লক্ষ্যে ‘আলোর মিছিল’ নামে একটি নিরব আন্দোলন করে আসছেন। এখন পর্যন্ত রাজশাহীর বাঘা ও চারঘাট এবং নাটোরের লালপুর ও বাগাতিপাড়ার মোট ৪১টি স্কুলে সৃজনশীল মানুষগড়ার লক্ষ্যে তিনি এ আন্দোলন পরিচালনা করছেন। উল্লেখ্য, বাঘার ওই যুবকের সৃজনশীল আন্দোলনের উপর গত ২০ সেপ্টেম্বর ‘বিনা পয়সায় বই বিলিয়ে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছেন বাঘার এক যুব ‘ শিরোনামে এমটি নিউজ২৪ ডট কমে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ৮ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আরএম/এমআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে