সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৭, ০২:০৩:২৪

তিব্বত থেকে রাখাইন—বৃহৎ শক্তির দ্বন্দ্ব ও জাতিগত নিধন

তিব্বত থেকে রাখাইন—বৃহৎ শক্তির দ্বন্দ্ব ও জাতিগত নিধন

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.) : ২ অক্টোবর ১৯৫০। রাত সাড়ে বারোটা। পিকিংস্থ ভারতের রাষ্ট্রদূত কে এম পানিক্কর টেলিফোনে বার্তা পেলেন তার সঙ্গে এখন, এই মুহূর্তেই একান্ত জরুরি কথা বলতে চান চীনের প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই।

বার্তা প্রেরক এর চাইতে বেশি কিছু বললেন না। চীনের রাজধানী বেইজিং, তখনকার নাম পিকিং, আজকের মতো মেগা রাজধানী শহরের জৌলুস তখন ছিল না। তাই এত রাতে রাস্তাঘাট সব কিছু একেবারে জনমানব-শূন্য। গ্রেট রেভিউল্যশনের মাত্র এক বছর। সব কিছুতেই কেমন যেন একটু থমথমে ভাব। কী কারণে এত রাতে তলব, কী হতে পারে।

গাড়িতে বসে চলতে চলতেই ঝানু রাষ্ট্রদূত পানিক্কর সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর মনে মনে একটু চোখ বুলিয়ে নিলেন। এত বড় একটা বিপ্লবের ধকল না কাটতেই পেছনের আঙিনার গুরুত্বপূর্ণ কমিউনিস্ট কমরেড উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম ইল সুং দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সামরিক অভিযান ও যুদ্ধ ঘোষণা করেছে মাস তিনেক আগে, ২৫ জুন ১৯৫০।

কিম ইল সুং বাহিনী স্বল্প সময়ের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল পর্যন্ত পৌঁছে যায়। কমিউনিস্ট আগ্রাসন রোখা তখন আমেরিকার অন্যতম স্ট্র্যাটেজিক লক্ষ্য। সুতরাং জাপানে অবস্থানরত আমেরিকার সেনাবাহিনী দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়।

একই সঙ্গে উত্তর কোরিয়া আগ্রাসী রাষ্ট্র এই মর্মে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস হয় এবং জাতিসংঘের ব্যানারে আরও ২০টি দেশের সেনাবাহিনী আমেরিকার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দেয়। ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতি সম্পূর্ণ উল্টে যায়। উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী পিছু হটতে থাকে।

এ রকম একটা পরিস্থিতিতে ২ অক্টোবর, ১৯৫০ মধ্য রাতে চীনের প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই ডেকে পাঠান ভারতের রাষ্ট্রদূতকে। যথাস্থানে পৌঁছে রাষ্ট্রদূত কে এম পানিক্কর দেখতে পান চৌ এন লাই নিজেই দাঁড়িয়ে আছেন তাকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য। যথারীতি সৌম্য, শান্ত ও শান্তিময় মুখচ্ছবির চৌ এন লাইকে দেখে পানিক্কর প্রথমে কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি।

চা পরিবেশনের পর চৌ এন লাই মুখ খোলেন। বললেন, আমেরিকার সেনাবাহিনী দুই কোরিয়ার অস্থায়ী সীমান্ত রেখা, ৩৮তম প্যারালাল অতিক্রম করলেই চীনের সেনাবাহিনী উত্তর কোরিয়ার পক্ষে যুদ্ধে নামবে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর মুখে এত রাতে এ কথা শুনে রাষ্ট্রদূত পানিক্করের বুকের মধ্যে যেন ধড়াস করে একটা আচমকা ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেল।

কিন্তু কূটনীতির দীক্ষা, কঠিন পরিস্থিতিতে সৌম্য, শান্ত অবয়ব বজায় রেখে চৌন এন লাইয়ের কাছ থেকে সে রাতে বিদায় নিলেন পানিক্কর। ওই রাতেই পানিক্কর অফিস খুলে জরুরি বার্তার মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নেহরুকে খবরটি জানিয়ে দেন।

ঘটনাটির বর্ণনা এভাবেই করেছেন ব্রুস রিডেল নামের একজন সিআইয়ের সাবেক কর্মকর্তা তার লিখিত— JFK’s Forgotten crisis, Tibet, the CIA and the Sino-Indian war গন্থে। এ ঘটনার আগে ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে পিকিংয়ে ভারতের রাষ্ট্রদূত কর্তৃক আয়োজিত অভ্যর্থনা পার্টিতে স্বয়ং মাও সে তুং সস্ত্রীক হাজির হন, এটি ছিল বিরল ঘটনা।

কারণ, মাও সে তুং সাধারণত কোথাও যেতেন না। শুধু বন্ধুত্বের গভীরতা প্রকাশ করার জন্যই সে দিন মাও সে তুং ওই পার্টিতে সস্ত্রীক হাজির হন বলে লিখেছেন ব্রুস রিডেল।

পার্টিতে শুভেচ্ছা বক্তব্যে মাও বলেন, চীন-ভারতের সম্পর্ক হাজার বছর টিকে থাকবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুও সমানতালে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ন্যাশনালিস্ট চায়না অর্থাৎ চিয়াং কাইসেখের তাইওয়ানের পরিবর্তে স্থায়ী সদস্যের পদটি মাও সে তুংয়ের চীনকে প্রদানের জন্য নেহরু আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আইজেন হাওয়ারের কাছে তদবির করেন।

আজকের লেখার শুরুতে ব্রুস রিডেলের বই থেকে এতগুলো কথা উল্লেখ করলাম এই কারণে যে, চীন-ভারতের এত গভীর সম্পর্কের অবনতির অন্যতম ফ্যাক্টর তিব্বত ইস্যুকে কেন্দ্র করে সংঘটিত ঘটনাবলির দিকে ফিরে তাকালে এবং একই সঙ্গে বর্তমানের রোহিঙ্গা সংকটের দিকে দৃষ্টি দিলে বোঝা যাবে, ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে বৃহৎ শক্তিবর্গ কীভাবে বন্ধু থেকে শত্রুতে পরিণত হয় এবং যার জের ধরে যুগে যুগে কত সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী কী রকম নিষ্ঠুর নির্মমতার শিকার হয়ে আসছে।

চীন-ভারতের সম্পর্ক তখন পঞ্চাশ দশকের শুরুতে যেমন ছিল তা বজায় থাকলে এ অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার পরিণতি আজকের মতো হতো না। চীন সরকারের মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস পত্রিকার এক নিবন্ধে কয়েক দিন আগে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীন-ভারত যৌথ নেতৃত্বে দিতে পারে। কথাটি ইঙ্গিতবাহী এবং তাৎপর্যপূর্ণ।

১৯৫০ সালে চীন কর্তৃক তিব্বত দখল করে নেওয়াকেও নেহরু গ্রহণ করে নেন এবং স্বীকৃতি দেন। এর মধ্যে তিব্বত দৃশ্যপটে হাজির হয় আমেরিকা। সব কিছু অন্য রকম হয়ে যায়। কমিউনিস্ট ঠেকাও এবং সদ্য কমিউনিস্ট দলভুক্ত চীনকে অস্থির করার জন্য শত শত ক্ষুব্ধ তিব্বতি যুবককে বাছাই এবং আমেরিকা থেকে গেরিলা প্রশিক্ষণ দিয়ে তিব্বতে ঢুকিয়ে দেয় সিআইএ।

শুরু হয় আমেরিকার প্রক্সি যুদ্ধ। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গেরিলাদের বিমানে করে আকাশ থেকে প্যারাস্যুটের মাধ্যমে তিব্বতে নামিয়ে দেওয়ার জন্য তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের তেজগাঁও পরিত্যক্ত বিমান ঘাঁটিকে আমেরিকা ব্যবহার করে। এই পটভূমিতে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য চীনের সেনাবাহিনী তিব্বতে বেপরোয়া সর্বাত্মক সামরিক অভিযান চালায়।

আন্তর্জাতিক মিডিয়া ও সাহায্য সংস্থা কেউ তিব্বতে ঢুকতে পারে না। চীনা সেনাবাহিনীর হাতে কত হাজার নিরীহ তিব্বতি নিহত হয়েছে তার কোনো হিসাব কেউ জানতে পারেনি। তিব্বতি নিধনের পাশাপাশি হ্যান চাইনিজদের এনে তিব্বতে পুনর্বাসন করা হয়। কয়েক লাখ তিব্বতি প্রাণভয়ে পালিয়ে ভারতসহ বিশ্বের নানাপ্রান্তে শরণার্থী হয়ে যায়।

তখনকার তিব্বতের ঘটনার সঙ্গে আজকের রাখাইনের ঘটনার অনেক মিল। দুটোর মধ্যে যোগসূত্র না থাকলেও প্রেক্ষাপটের মিল তো অনেক। ভারত সেদিন তিব্বতে গেরিলা যুদ্ধের বিষয়ে আমেরিকার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না, ব্রুস রিডেলও তার বইয়ে সে রকম কিছু উল্লেখ করেননি। কিন্তু মাও সে তুংয়ের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়।

বিশেষ করে দালাই লামাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য সেই সন্দেহ আরও বৃদ্ধি পায়। তারপর ১৯৬২ সালের যুদ্ধ এবং বর্তমানে চীন-ভারতের সম্পর্ক কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে সেটি এখন সবাই দেখছেন। আমেরিকার গোপন দুরভিসন্ধির প্রেক্ষাপটে ও ভারতের বিরুদ্ধে ভৌগোলিকভাবে স্থায়ী একটা স্ট্র্যাটেজিক সুবিধা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চীন তখন তিব্বতে সামরিক অভিযান চালায় এবং তিব্বতকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করে নেয়।

৬৬ বছর পর চীনের স্ট্যাটেজিক স্বার্থ রক্ষার অপরিহার্যতাকে পুঁজি করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইন থেকে উত্খাত করছে সেখানে শত শত বছর যাবৎ বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের। চীন চোখ বন্ধ করে না থাকলে মিয়ানমার এ রকম গণহত্যা চালাতে পারত না। ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র, যা-ই বলি না কেন, ধন-সম্পদের ঊর্ধ্বারোহণের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মননশীলতার উন্নতি না হলে তা মানুষের জন্য বিপজ্জনক হয়।

মননশীলতার উন্নতির জন্য উদার গণতান্ত্রিক ও ধর্ম-বর্ণের বৈষম্যহীন চিন্তা-চেতনা এবং রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা অপরিহার্য। চীনের বেলায় কথাটি আজ বড় বাস্তব সত্য। সুতরাং তারা সেই বিপ্লব-উত্তর সময়ের ব্রুটালিটির দর্শন থেকে বের হতে পারেনি বলেই তিব্বতে চীন যা করেছে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বর্বরতা মিয়ানমার চালাবার সুযোগ পাচ্ছে শুধুমাত্র চীনের নীরবতার কারণে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বরতার বিরুদ্ধে অত্যন্ত সোচ্চার ভূমিকা নিয়েছে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তারা মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও জাতিগত নিধনের অভিযোগ এনেছে এবং বলেছে, বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের সব রকমের অধিকার দিয়ে মিয়ানমারকে ফেরত নিতে হবে। তিব্বতে চীনের আগ্রাসন তখন যে আশায় মেনে নেয় ও নীরব থাকে তার কোনো আশাই ভারতের পূর্ণ হয়নি।

বরং ১৯৬২ সালের যুদ্ধে পশ্চিম হিমালয় অঞ্চলের আকশাই চীন এলাকা চিরদিনের জন্য দখলে নিয়েছে চীন। চীনের মতো না হলেও মিয়ানমারের ভিতরে ভারত নিজের স্ট্র্যাটেজিক স্বার্থ প্রতিষ্ঠা ও তা বজায় রাখার জন্য রাখাইনে পরিষ্কার গণহত্যা ও জাতিগত নিধনের বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করেছে, যা ভারতের মতো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাছে মোটেই প্রত্যাশিত ছিল না।

বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিগত সময়ের উত্থান-পতন, অস্থিরতা, অনিশ্চয়তার বহুমুখী হিসাব মেলাতে গিয়ে হয়তো ভারত এরকম সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর সঙ্গে শর্টকাট সংযোগ স্থাপনের জন্য ভারত বাংলাদেশের বিকল্প হিসেবে সিটিইউ সমুদ্রবন্দর হয়ে মিয়ানমারের ভিতর দিয়ে সড়ক সংযোগের প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে, যেটি কালাডান বহুমুখী অবকাঠামো প্রকল্প নামে পরিচিত।

কিন্তু দুর্যোগের সময় চীনের প্রভাবে মিয়ানমার ভারতকে কতটুকু সুবিধা দেবে তা ভারতের নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের ভেবে দেখতে হবে। তারপরও কথা আছে। চীন ও ভারতকে আঞ্চলিক ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের ওপর অন্যায্যভাবে ১০ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে চাপিয়ে দিলে যে ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি হবে তার অভিঘাত থেকে চীন-ভারত কেউ-ই রক্ষা পাবে না।

১৯৬২ সালের পর থেকে দীর্ঘ অবরুদ্ধকালে মিয়ানমারের একমাত্র সঙ্গী ছিল চীন। কিন্তু ২০১০ সাল থেকে গণতন্ত্রের পথে বন্ধ দুয়ার খোলা শুরু হলে মিয়ানমারের ওপর আমেরিকা এক প্রকার হামলে পড়ে বলা যায়। সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দুবার মিয়ানমার সফর করেন। তারপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনসহ আমেরিকার ডজন ডজন সিনিয়র প্রভাবশালী কর্মকর্তা মিয়ানমারে আসেন।

তখন মনে হয়েছিল পূর্ণ গণতন্ত্র ফিরে এলে মিয়ানমার বোধ হয় সম্পূর্ণভাবে আমেরিকার বলয়ে চলে যেতে পারে। এতে চীন শঙ্কিত হয়ে থাকলে সেটিকে দোষ দেওয়া যাবে না। তারপর এ যাবৎকাল যা ঘটেছে তাতে মিয়ানমারের ওপর চীনের একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়েছে। সব ঘটনাবলির পূর্ণাঙ্গ একটা বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, মিয়ানমারের ওপর বৃহৎ শক্তিবর্গের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার দ্বন্দ্বের শিকার হয়ে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী তাদের চৌদ্দপুরুষের ভিটামাটি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।

গণহত্যা, সম্ভ্রমহানীর মতো জঘন্য মানবতাবিরোধী অপরাধ যারা করল এবং যাদের নীরবতার কারণে ঘটল তারা আগামীতে ইতিহাসের কাছে কী জবাব দেবেন। তুরস্ক প্রথম মহাযুদ্ধে আর্মেনীয়দের ওপর গণহত্যা চালিয়ে পার পেয়ে গেলেও মানুষ এখনো তা ভুলে যায়নি। কিন্তু কম্বোডিয়ায় পলপটের খেমার বাহিনী নিজ জনগণের ওপর গণহত্যা চালিয়ে রেহাই পায়নি, বড় খুঁটি চীন শেষ পর্যন্ত তাদের রক্ষা করতে পারেনি।

বৃহৎ শক্তিবর্গের ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে জাতিগত নিধনের ইতিহাস দীর্ঘ হলেও, এর প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি হওয়া জঞ্জালের অভিঘাত থেকে ইন্ধনদাতা রাষ্ট্র ও শক্তি কেউ রক্ষা পায়নি। তাই ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী রোহিঙ্গা নিধনের জন্য যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দায়ী তাদের অবশ্যই অভিঘাতের মধ্যে পড়তে হবে। ইতিহাসের এই শিক্ষাটি চীন-ভারত মনে রাখলে তা পুরো অঞ্চলের জন্য মঙ্গলজনক হবে।

লেখক : কলামিস্ট ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক। -বিডি প্রতিদিন

এমটিনিউজ/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে