সোমবার, ০৯ নভেম্বর, ২০১৫, ০২:৪৬:৩৪

গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠানোর ষড়যন্ত্র চলছে : খালেদা

গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠানোর ষড়যন্ত্র চলছে : খালেদা

ঢাকা : বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ১৯৯০ সালে মুক্ত হওয়া গণতন্ত্র আবার শৃংখলিত হয়েছে।ষড়যন্ত্র চলছে এদেশ থেকে গণতন্ত্রকে চিরতরে নির্বাসনে দেয়ার।একতরফা নির্বাচন করে বেনামি একদলীয় সরকার ব্যবস্থা পুনরায় চালু করার গোপন চক্রান্ত এখন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। শহীদ নুর হোসেন দিবস উপলক্ষে সোমবার এক বাণীতে বিএনপি চেয়ারপারসন একথা বলেন। বেগম জিয়া বলেন, আশির দশকে স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ঘটনাপ্রবাহে নুর হোসেন একটি অবিস্মরণীয় নাম। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের এক লড়াকু সৈনিক হিসেবে তিনি রাজপথে নেমে এসেছিলেন বুকে পিঠে ’গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ অংকিত স্লোগান লিখে। গণতন্ত্রের দাবিতে সোচ্চার এই যুবকের বুকে-পিঠে উচ্চারিত শব্দমালা মুছে দিতে স্বৈরশাসকের বন্দুক বিদীর্ণ করেছিল নুর হোসেনের বুক-পিঠ। তার রক্তের ধারা বেয়েই ’৯০ এর গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে, মুক্ত হয় আমাদের গণতন্ত্র। খালেদা জিয়া বলেন, যে স্বপ্ন চোখে নিয়ে জীবন উৎসর্গ করে ছিলেন নুর হোসেন, তার সে স্বপ্ন আজও পুরোপুরি সফল হয়নি। ১৯৯০ এর মুক্ত হওয়া গণতন্ত্র আবার শৃংখলিত হয়েছে। ষড়যন্ত্র চলছে এদেশ থেকে গণতন্ত্রকে চিরতরে নির্বাসনে দেয়ার, একতরফা নির্বাচন করে বেনামি একদলীয় সরকার ব্যবস্থা পুনরায় চালু করার গোপন চক্রান্ত এখন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে শহীদ নুর হোসেন আমাদের প্রেরণা। তার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে একটি মুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ ফিরে পেতে আমাদের সচেষ্ট হতে হবে। বেগম জিয়া বলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো সেদিনের পতিত স্বৈরাচার বর্তমান বিনাভোটের সরকারেরই সহযোগী। এতে কি নুর হোসেনের আত্মা শানিত্ম পায়? নুর হোসেন আওয়ামী যুবলীগের কর্মী ছিলেন। নিজ দলের কর্মীর রক্তের সাথে এটা কি প্রতারণা নয়? বিবৃতিতে তিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের বীর শহীদ নুর হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। ৯ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে