শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৭, ০১:৩২:৫৪

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য ২১ নির্দেশনা

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য ২১ নির্দেশনা

নিউজ ডেস্ক : রোহিঙ্গাদের জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনে লাইগেশন ও ভ্যাসেকটমির ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে।

গত ২২শে অক্টোবর আশ্রয়প্রার্থী রোহিঙ্গাদের ব্যবস্থাপনার বিষয়ে এমন ২১টি নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এতে বলা হয়েছে, প্রায় ৩০ হাজার গর্ভবতী মহিলার প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করতে হবে।

এছাড়া, শিশু রোগের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও নার্সের ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়েছে। এছাড়া পিতা-মাতা থেকে বিচ্ছিন্ন এবং এতিম শিশুদের তথ্য সংগ্রহ করে ডাটাবেজ কার্যক্রম জোরদার এবং এ কাজের সঙ্গে এটুআইকে সংযুক্ত করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৪ আল মামুন মুর্শেদ স্বাক্ষরিত নির্দেশনাটি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ই অক্টোবর বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) কবির বিন আনোয়ারের সভাপতিত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের সভা হয়। ওই সভার শুরুতে ১৪ ও ২৯শে সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অবহিত করা হয়। এরপর বিভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এসব সিদ্ধান্তগুলো নির্দেশনা আকারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আশ্রয়প্রার্থী সব রোহিঙ্গাকে অস্থায়ী ক্যাম্পে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে হবে। বাহারছড়া ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীদের অন্যান্য ক্যাম্পে সরিয়ে নিতে হবে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি, আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন এবং জেলা প্রশাসন কক্সবাজার কোনো ক্যাম্পে প্রতিদিন কত জনকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে তার একটি পরিসংখ্যান তৈরি করে পাঠাতে হবে। এছাড়া প্রতি ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের অনুপাতে মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করতে হবে। এরই মধ্যে ডায়রিয়া, ঠাণ্ডাজনিত রোগ এবং চর্মরোগ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।

ডায়রিয়া ও চর্ম রোগের প্রাদুর্ভাব যেন ছড়িয়ে না পড়ে এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। নির্দেশনায় বলা হয়, রোহিঙ্গা পরিবারগুলোকে কেরোসিন স্টোভ সরবরাহ করতে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি, আইওএম এবং দেশি- বিদেশি এনজিওগুলোকে অনুরোধ জানাতে হবে।

এছাড়া আগামী শীত মোকাবিলার জন্য ১০ লাখ কম্বল ও প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র সরবরাহ করতে দেশি-বিদেশি সংস্থাগুলোকে অনুরোধ করার কথা বলা হয়েছে। হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, স্ক্যাবিশ, পোলিও ও এইচআইভি রোগীকে শনাক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে বিশেষভাবে আলাদা স্থানে তাদের চিকিৎসা দিতে হবে।

যাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে রোগটি ছড়িয়ে না পড়ে। একাধিক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনাগুলো তারা পেয়েছেন। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছেন তারা। -এমজমিন
এমটিনিউজ/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে