নিউজ ডেস্ক : ব্যাপক হারে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ফলে নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখায় কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপের পর্যটন শিল্পে বিপর্যয় নেমে এসেছে। বিগত বছরগুলোতে পহেলা অক্টোবর থেকে পর্যটকরা সেন্টমার্টিন যাওয়ার সুযোগ পেলেও এবার তা হচ্ছে না।
এখন পর্যন্ত নাফ নদী হয়ে বঙ্গোপসাগরে জাহাজ চলাচলের অনুমতি পায়নি ট্যুর অপারেটরগুলো। ফলে পর্যটন শিল্পের ওপর নির্ভর সেন্টমার্টিনের হাজার হাজার বাসিন্দারা চরম বিপাকে পড়েছেন।
প্রমোদ ভ্রমণের জন্য দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন নিয়ে পর্যটকদের আগ্রহ দিনদিন বাড়ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বছরের ছয় মাস টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকলেও বছরের বাকিটা সময় উত্তাল বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে পর্যটকরা ছুটে যান সেখানে। কিন্তু চলতি বছরের ২৫শে আগস্ট থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শুরু হওয়ায় নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে বন্ধ রাখা হয়েছে সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ চলাচল।
নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার মাস বাংলাদেশে পর্যটন মৌসুম হিসেবে চিহ্নিত। কিন্তু সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকদের সুবিধার্থে অন্যান্য বছর পহেলা অক্টোবর থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত ছয় মাস জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয় প্রশাসন। এবারও পহেলা অক্টোবর থেকে জাহাজ চলাচল উপযোগী সার্টিফিকেট আনা হলেও নিষেধাজ্ঞার কারণে জাহাজ চালাতে পাররেনা ট্যুর অপারেটরগুলো।
পর্যটন মৌসুমে ছয়টি জাহাজ প্রতিদিন চার থেকে সাড়ে চার হাজার পর্যটককে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে আনা নেয়া করে। সাধারণ নৌকা করে যাওয়া-আসা করে আরো অন্তত কয়েকশ পর্যটক। এ অবস্থায় পর্যটকদের সুবিধার্থে দ্রুত জাহাজ চলাচল শুরু করতে প্রশাসনের অন্যান্য বিভাগের আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান কক্সবাজারের টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক।
সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের থাকার জন্য রয়েছে একশ’র বেশি হোটেল-মোটেলয় ও রিসোর্ট। এছাড়া পর্যটক নির্ভর অন্যান্য পেশার ওপর নির্ভরশীল রয়েছে এখানকার ৮ থেকে ১০ হাজার বাসিন্দা।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস