সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৭, ০৬:৫১:২৩

বাংলাদেশ-চীনের নতুন চুক্তি স্বাক্ষর: যেভাবে বাংলাদেশের বাঁচবে বছরে ১০০ কোটি টাকা

বাংলাদেশ-চীনের নতুন চুক্তি স্বাক্ষর: যেভাবে বাংলাদেশের বাঁচবে বছরে ১০০ কোটি টাকা

নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগর থেকে তেল আনা নেওয়ার জন্য চীনের সঙ্গে ২২০ কিলোমিটার পাইপলাইন তৈরিতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সরকার। রবিবার দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনা বার্তা সংস্থা শিনহুয়া। গভীর সমুদ্রে বড় জাহাজে করে তেল আসে এবং সেখান থেকে ছোট জাহাজগুলোতে বন্দরে আসে। এতে করে অনেক সময় ও অর্থ ব্যয় হতো। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সময় ও টাকা বাঁচবে বলে জানান কর্মকর্তারা।

শিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আজম ও বাংলাদেশে নিযু্ক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত মা মিংকিয়াং এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষরের সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, নতুন এই অবকাঠামোর কারণে বছরে ১০০ কোটি টাকা বাঁচবে বাংলাদেশের।

এই প্রকল্পে বাংলাদেশের বিদ্যুতের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে সামঞ্জস্য তৈরি হবে বলে জানান কর্মকর্তারা। এছাড়া এতে করে জ্বালানির আমদানিতে ক্ষতির পরিমাণ অনেক কমে যাবে। কর্মকর্তারা জানান, গভীর সমুদ্রে বড় জাহাজে করে তেল আসে এবং ছোট জাহাজগুলোতে তোলা হয়। এতে করে অনেক সময় ও অর্থ ব্যয় হয়। সেই সমস্যা সমাধানে এই পাইপলাইন তৈরির প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে জানানো হয়, গত বছরের অক্টোবরে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হওয়া ২৭টি প্রকল্পের মধ্যে এটি একটি। গত ডিসেম্বরে চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ব্যুরো সঙ্গে একটি চুক্তি করে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী পাইপলাইনে অবকাঠামো নির্মাণ ও কারিগরি দিক দেখার কথা প্রতিষ্ঠানটির।

প্রকল্পের আওতায় মহেশখালীতে একটি তেলের স্টোরেজ ট্যাংক তৈরি করা হবে। এই প্রকল্পে ব্যয় হবে ৫৪০ কোটি ২৬ লাখ টাকা। বছরে ৯০ লাখ টন তেল নামানো যাবে এখান থেকে। পানিতে ১৪৬ কিলোমিটার ও স্থলে ৭৪ কিলোমিটার পাইপলাইন থাকবে। সাগর থেকে পরিশোধনের জন্য চট্টগ্রাম পৌঁছাবে তেল। সূত্র- বাংলা ট্রিবিউন
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে