বুধবার, ০১ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:১৭:০৭

জেলায় জেলায় দ্বন্দ্ব ও অন্তর্কোন্দলে জর্জরিত বিএনপি

জেলায় জেলায় দ্বন্দ্ব ও অন্তর্কোন্দলে জর্জরিত বিএনপি

মাহমুদ আজহার : একসময় নেতা বেশি হওয়ায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের আমলে ময়মনসিংহকে সাংগঠনিকভাবে দুই ভাগে (দক্ষিণ ও উত্তরে) বিভক্ত করা হয়। কিন্তু দিন যতই গড়াতে থাকে, ততই দুর্বল হতে থাকে সংগঠন।

বর্তমান উত্তর-দক্ষিণ দুই শাখার অবস্থাই করুণ। ময়মনসিংহ উত্তরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই অন্তত ২০ বছর ধরে। সাংগঠনিক এ জেলার সাতটি উপজেলাতেই নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে দুটি করে কমিটি। জেলার আহ্বায়ক খুররম খান চৌধুরী ও সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন এক গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

অন্যদিকে জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি শাহ শহীদ সারোয়ার নেতৃত্ব দিচ্ছেন আরেক গ্রুপের। দুর্বল সংগঠনের কারণে এ জেলায় আন্দোলন তেমন গতি পায়নি। এ কারণেই নির্বাচনের জন্য যোগ্য প্রার্থীও গড়ে উঠছে না বলে মন্তব্য জেলার তৃণমূল নেতা-কর্মীদের।

একই অবস্থা ময়মনসিংহ দক্ষিণেও। আট বছর আগে কমিটি হয়েছিল বিএনপির সাংগঠনিক এ জেলায়। কমিটি হওয়ার পর কিছু দিন উত্তাপ ছড়ালেও ক্রমেই তা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। এখন জেলা বিএনপির কার্যক্রম স্থবিরপ্রায়। নতুন কমিটি হচ্ছে হবে বলে নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পড়ছে প্রকাশ্যেই।

দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে দলীয় কার্যালয় পাহারা দেয় পুলিশ। দুই শীর্ষ নেতা বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা সভাপতি এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দের দ্বন্দ্বে তৃণমূল নেতা-কর্মীরাও ছন্নছাড়া। সভাপতির পক্ষে জেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক শফিকুর রহমান, সহ-সভাপতি জাকির হোসেন বাবলু একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন।

অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপে আলমগীর মাহমুদ আলম রয়েছেন। অবশ্য সভাপতি গ্রুপে রয়েছে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও মহিলা দল। বয়োবৃদ্ধ হওয়ায় এ কে এম মোশাররফ হোসেনের অনুপস্থিতিতে এ জেলায় আগামীতে যোগ্য নেতৃত্ব সংকটে বিএনপি। এ সংকট শুধু ময়মনসিংহেই নয়, সারা দেশে বিএনপির সাংগঠনিক ৮১টি জেলার অধিকাংশেরই চালচিত্র একই।

নতুন করে কমিটি হওয়া জেলাগুলোতেও যোগ্য নেতৃত্ব সংকট দেখা দিয়েছে। আবার গ্রুপ-উপগ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন নেতা-কর্মীরা। এ ছাড়া কমিটি না থাকা জেলাগুলো একেবারেই স্থবিরপ্রায়। এসব জেলায় সাংগঠনিক কোনো কর্মসূচিও পালিত হয় না ঠিকমতো। তাদের নেই কোনো জবাবদিহিতাও। নড়বড়ে সংগঠনের কারণে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

এ পরিস্থিতিতেই পুরোদমে একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিতে নামার কথাও বলছেন নেতারা। বিএনপির সাংগঠনিক জেলা জয়পুরহাট। সাংগঠনিক জেলার মধ্যে বেশ শক্তিশালী ছিল এটি। দীর্ঘদিন পর ২০১৭ সালের মার্চে জয়পুরহাট জেলা বিএনপির ২৬ সদস্যের আংশিক কমিটি হয়। এরপর পুরনো দ্বন্দ্ব প্রকাশ পায় নতুন রূপে।

জেলা সভাপতি মোজাহার আলী প্রধান আর সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফার সমর্থকরা প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বে জড়ান ৯ মে। জেলা সফরের অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় নেতা বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুকের উপস্থিতিতেই শুরু হয় দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।

একপর্যায়ে তা রূপ নেয় সংঘর্ষে। এতে দুই গ্রুপের ১০ জন আহত হন। এরপর থেকেই ওই কমিটির কার্যক্রম বন্ধপ্রায়। এখন সেখানে কোনো কর্মসূচিও পালিত হয় না। তবে সংঘাত-সংঘর্ষের বাইরে অবশ্য গ্রুপ-উপগ্রুপ আর শোডাউন-পাল্টা শোডাউনকে ইতিবাচকভাবেই দেখছে বিএনপি। এতে দল সাংগঠনিকভাবে ‘সক্রিয়’ হচ্ছে বলেও মনে করেন নেতারা।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সাংগঠনিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়া চলমান কাজেরই একটি অংশ। কমিটি গঠনের নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হলেও তা বছরজুড়েই চলে। এতে নির্বাচনের প্রস্তুতিতে তেমন কোনো প্রভাব পড়ে না। জেলা কমিটি গঠনে সবকটিতে কাউন্সিল না হলেও জেলা ও উপজেলা নেতাদের মতামতের ভিত্তিতেই কমিটি দেওয়া হচ্ছে। বিএনপির মতো জনপ্রিয় দলের কমিটিতে জায়গা পেতে প্রতিযোগিতা থাকবেই। একে কোন্দল বা দ্বন্দ্ব বলা ঠিক হবে না।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ৮১টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৫০টিতেই নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯টি জেলায় আংশিক কমিটি দেওয়া হয়েছে। দুটি জেলায় আহ্বায়ক কমিটি। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দেশের বাইরে থাকায় পুনর্গঠন কার্যক্রমে ভাটা পড়ে। চেয়ারপারসন ফিরে এসেছেন। দলে এখন চাঙ্গা ভাব। কিন্তু এখনো শুরু হয়নি সাংগঠনিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়া।

চার দিনের সফরে শনিবার কক্সবাজার সফরে গেছেন বেগম জিয়া। খালেদা জিয়ার সফরকে ঘিরে চট্টগ্রামমুখী বিভিন্ন জেলার নেতা-কর্মীরা এখন বেশ চাঙ্গা। ঢাকায় ফিরে সাংগঠনিক পুনর্গঠনের কাজে হাত দেবেন বিএনপি প্রধান। এরপর শীত মৌসুমে তিনি বিভাগীয় সফরে যেতে পারেন। এরই মধ্যে অন্তত ১৫টি জেলা কমিটির খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে।

ঢাকায় ফিরে যে কোনো দিন এসব জেলার কমিটি দেবেন তিনি। আগামী দুই মাসের মধ্যে বিএনপি দল গোছানোর কাজ সম্পন্ন করতে পারবে বলে দায়িত্বশীল দলীয় সূত্র জানিয়েছেন। এ ছাড়াও বিএনপির প্রায় সব অঙ্গসংগঠনের নতুন কমিটি দেওয়া হয়েছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কমিটিও খুব শিগগিরই দেওয়া হতে পারে।

দল পুনর্গঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বলেন, ‘নির্বাচন ও আন্দোলন সামনে রেখেই দল পুনর্গঠন প্রক্রিয়া চলছে। এরই মধ্যে জেলা কমিটি পুনর্গঠন অনেক দূর এগিয়েছে। বাকিগুলোও দ্রুত সম্পন্ন হবে। অসম্পূর্ণ অঙ্গসংগঠনগুলোও শিগগিরই দেওয়া হবে। দল গুছিয়েই নির্বাচন প্রস্তুতি নেওয়া হবে। সুষ্ঠু ভোট হলে সংগঠন একটু দুর্বল থাকলেও তেমন কোনো সমস্যা নয়।’

বিএনপির ঘাঁটি বলে খ্যাত মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা আর সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান শান্তর মুখ দেখাদেখি বন্ধ। ১৬ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণার পর কোনো বৈঠক হয়েছে কিনা নেতা-কর্মীরা জানেন না। কমিটির কার্যক্রম পুরোপুরি স্থবির। পূর্ণাঙ্গ কমিটি কবে হবে তা কেউ বলতে পারছেন না।

বিএনপির কারণে জেলা যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অন্য অঙ্গসংগঠনের কার্যক্রমও নেই বললেই চলে। এর আগেও মানিকগঞ্জে বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল হারুনার রশীদ খান মুন্নুর। এখন দুজনই প্রয়াত।

এ দুই নেতার অবর্তমানে মানিকগঞ্জ বিএনপিতেও নেতৃত্বশূন্যতা দেখা দিয়েছে। তবে এ প্রসঙ্গে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবীর জানান, ‘মানিকগঞ্জের ভোটার ও মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। কমিটির কার্যক্রম না থাকলেও মাঠের নেতা-কর্মীরা সব কর্মসূচিই পালন করে যাচ্ছেন। ধানের শীষের উর্বর ক্ষেত্র হচ্ছে মানিকগঞ্জ। ’

পটুয়াখালীতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্নেহাংশু সরকার কুট্টির দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। ‘এক নেতার এক পদ’ ঘোষণা দেওয়া হলেও জেলার নেতৃত্ব ছাড়েননি আলতাফ চৌধুরী। এ নিয়ে জেলা বিএনপির অধিকাংশ নেতাই তার ওপর ক্ষুব্ধ। উপজেলা পর্যায়ের নেতারাও তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। কিছু দিন আগে একই স্থানে দুই গ্রুপের সমাবেশ ঘিরে সম্প্রতি বিএনপির কর্মিসভা ভণ্ডুল হয়।

বরিশাল জেলা দক্ষিণেও মাত্র পাঁচ সদস্যের কমিটি। এবায়দুল হক চাঁন ও আবুল কালাম শাহীনের নেতৃত্বে কমিটি হলেও কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। বরিশাল উত্তরেও একই অবস্থা। সেখানে বিএনপির দুই হেভিওয়েট নেতা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনের সমর্থকরা মাঝেমধ্যে প্রকাশ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছেন।

কয়েক দিন আগে কর্মিসভায় দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল হট্টগোল, চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে বিব্রত হন সেখানে উপস্থিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। বরিশাল মহানগরে যুবদলের পদবঞ্চিত নেতাদের একটি অংশ জেলা ও মহানগর বিএনপি অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

বরগুনায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন জেলা সভাপতি ফারুক মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক এস এম নজরুল। সেখানেও এখন সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। চুয়াডাঙ্গা বিএনপিতে এখন চতুর্মুখী দ্বন্দ্ব। দুই বছর আগে আহ্বায়ক কমিটি হলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে পারেননি জেলা নেতৃত্ব।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই স্নায়ুযুদ্ধ চলছে জেলা আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের। এ ছাড়া জেলা বিএনপির সদস্য মো. কামরুজ্জামান ও শরিফুজ্জামান নতুন দুটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জেলা নেতাদের দ্বন্দ্বে অঙ্গসংগঠনগুলোর কার্যক্রমও স্থবির হয়ে পড়েছে। বিএনপির সবচেয়ে সাংগঠনিক দুর্বল জেলা পিরোজপুর।

সেখানে দলের কোনো প্রভাবশালী নেতাও নেই। জেলা সভাপতি গাজী বাবুল আর সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন নেতা-কর্মীদের দুই বলয়ে রেখে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। চাঁদপুর জেলার নেতৃত্বে থাকা শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বিপরীতে একাট্টা জেলার সাবেক মন্ত্রী-এমপিরা।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন, ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক, রাশেদা বেগম হীরা, জি এম ফজলুল হক, এস এ সুলতান টিটু, মোস্তফা খান সফরী, শফিকুর রহমান ভূঁইয়াসহ একটি অংশ আলাদা গ্রুপে। এ কারণে এখনো জেলায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীরাও গ্রুপে গ্রুপে বিভক্ত হয়ে আছেন।

দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়েও সাংগঠনিকভাবে বিপর্যস্ত বিএনপি। সেখানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারের বিপরীতে আরেকটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারই শিষ্য পৌর মেয়র তৌহিদুল ইসলাম। বর্তমানে এ দুই নেতার দ্বন্দ্বে সেখানে জেলা কমিটিও দিতে পারছে না কেন্দ্র।

অবশ্য সম্প্রতি ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি কর্মসূচি পালন করেছেন। সেখানে দলের নেতা-কর্মীদের বড় অংশকে দেখা যায়। তার ছেলে বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফরহাদ হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক এম এ মজিদসহ বড় অংশই ব্যারিস্টার জমিরের পক্ষে।

চট্টগ্রাম উত্তরে আসলাম চৌধুরী-গিয়াস কাদের চৌধুরীর দ্বন্দ্ব বেশ কিছু দিন ধরেই। দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে একাধিকবার। দক্ষিণ জেলায়ও একই অবস্থা। রাজশাহী মহানগরী ও জেলায় নতুন নেতৃত্ব এলেও কয়েক দফায় সংঘর্ষে এখনো গতিশীল হতে পারেনি সংগঠন। নতুন নেতৃত্ব রুখতে রাজশাহী মহানগরীতে দলীয় অফিসে তালাও দেওয়া হয়। ছয় নেতাকে অব্যাহতি দেওয়ার পর থেকে খুলনা মহানগরী ও জেলা বিএনপি এখনো স্থবির।

নতুন করে কমিটি গঠনের নেই কোনো উদ্যোগ। বিএনপির অন্যতম প্রধান ঘাঁটি বলে খ্যাত ফেনী বিএনপিও এখন দুর্বল হয়ে পড়েছে। সেখানে বিএনপি অন্তত তিন ভাগে বিভক্ত। এক গ্রুপে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ভিপি জয়নাল আবেদীন, এক গ্রুপে সাবেক এমপি রেহেনা আক্তার রানু এবং অন্য গ্রুপে জেলা যুবদলের সভাপতি গাজী হাবিবুল বাহার মানিক নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

তবে গত রবিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় জেলা বিএনপির কার্যকর কোনো ভূমিকা ছিল না। সাংগঠনিক কমিটি দুর্বল হলেও নতুন কমিটি ঘিরে শুরু হয়েছে ব্যাপক লবিং-গ্রুপিং। দীর্ঘ আট বছর কাউন্সিল না হওয়ায় জেলা বিএনপি এখন অন্তর্কোন্দলে জর্জরিত। -বিডি প্রতিদিন

এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে