নিউজ ডেস্ক : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেছেন, ধর্মের অপব্যাখ্যা, সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ও সর্বগ্রাসী লোভের সঙ্গে নানা উপাদান যুক্ত হয়ে সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। এ সংকট থেকে উত্তরণ না হলে উন্নয়নের ধারা বিঘ্নিত হবে। মুক্তিযুদ্ধের ভাবাদর্শ অর্জন ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল তিনি এ কথা বলেন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ডা. সারওয়ার আলী। এ সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, ড. অজয় রায়, পঙ্কজ ভট্টাচার্য, রামেন্দু মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সুলতানা কামাল বলেন, এই মুহূর্তে আত্মকেন্দ্রিকতা ও উদাসীনতা পরিহার করে সচেতন ও সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সামাজিক শক্তির পুনর্জাগরণ প্রয়োজন। মুক্তিযুদ্ধের প্রধান লক্ষ্য ছিল সব ধর্মের মানুষের সমঅধিকার ও বৈষম্য নিরসন করা। সবার মতের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ গঠন করা। কিন্তু সমাজে ধর্ম-বিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িকতার বিস্তার ঘটছে।
তিনি বলেন, দেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। কোনো ধর্মেই হত্যাকাণ্ড সমর্থন করে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সফল অভিযানে জঙ্গি দমন হলেও শেষ হয়নি। নারীর ক্ষমতা বৃদ্ধি পেলেও তাদের নিরাপত্তা নেই। শিশুরা বর্বরতার শিকার হচ্ছে। আবার এর সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা যুক্ত হয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ২০১৮ সালের পাঠ্যপুস্তকে সেই তেঁতুল হুজুরের প্রেসক্রিপশন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক। এত দিন ধরে আলোচনা, গবেষণা, উপস্থাপন করে তথ্য-উপাত্ত দেওয়ার পরও আমাদের পাঠ্যপুস্তক সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ থেকে উৎপাটন করতে পারিনি।
সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, আমিও একজন রাজনৈতিক কর্মী হয়ে সমাজকে জাগানো প্রধান কাজ বলে মনে করি। সামাজিক কার্যক্রমকে সক্রিয়, কার্যকর ও গতিশীল করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। সব অসঙ্গতির সংগ্রামে আমরা লিপ্ত হব।
সাম্প্রদায়িক-জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিমুক্ত দেশে মানবিক সমাজ গড়ার লক্ষ্যে আগামী ২৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
এমটিনিউজ/এসবি