মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৫, ০২:২২:৩১

‘ছিনতাই-ডাকাতি করে জেএমবির বিলাসী জীবন’

‘ছিনতাই-ডাকাতি করে জেএমবির বিলাসী জীবন’

ঢাকা : ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেছেন, ছিনতাই আর ডাকাতির মাধ্যমে তহবিল গঠন করে সংগঠন শক্তিশালী এবং সচ্ছল ও বিলাসী জীবনযাপন করার চেষ্টা করছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের ( জেএমবি) সদস্যরা। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই কথা জনান তিনি। জিহাদি বই, বিস্ফোরকদ্রব্য ও দেশীয় অস্ত্রসহ সোমবার রাতে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১১ জেএমবি সদস্যকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (উত্তর)। আটকৃতরা হলো, আরিফ ইবনে খায়ের উরফে রিফাত, বাবু মুন্সি মাসুদ উরফে রানা, খোরশেদ আলম, ওমর ফারুখ, আলহাজ্জ মিয়া, হেলাল উদ্দিন, আবু বাসেত, সুজাত, আজহার আলী, ফরহাদ হোসেন, মিজানুর রহমান। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ জেহাদী বই, চাপাতি, তালা কাটার মেশিন, ছুরি, হাসুয়া ( দেশীয় অস্ত্র), দেড় কেজি সালফার এবং কিছু পরিমাণ পটাশ জাতীয় বিস্ফোরকজাতীয় দ্রব্য পাওয়া যায়। সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যাংক ডাকাতি এবং এনজিওর মাধ্যমে বিপুল অর্থ সংগ্রহ করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থপনাসহ ভিভিআইপি লোকদের ওপর হামলা করাই এদের মূল লক্ষ্য। মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এটি একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা। বর্তমানে তাদের সক্ষমতা নেই। এরা জেএমবির নামে সংগঠিত হয়ে মূলত ডাকাতি এবং ছিনতাই করে থকে।’ পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘জেএমবি দুই ভাগে বিভক্ত। একটি দল ডাকাতি-ছিনতাইয়ের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে এবং আরেকটি দলকে সংগঠিত করে। ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের জঙ্গিদের দেখে এরা উৎসাহিত হচ্ছে।’ গত ২৭ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশ কর্তৃক আটক জেএমবির ভারপ্রাপ্ত আমির আবু তালহা মো. ফাহিম উরফে পাখির কাছ থেকে রিফাতের নাম জানা যায়। রিফাত গাজীপুর, টাঙ্গাইল, জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ঘুরে সদস্য সংগ্রহ করত। ঢাকাতে তারা রিফাতের নেতৃত্বেই জড়ো হয়। রিফাতকে তারা ঐক্যের প্রতীক মনে করে। ১০ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে