মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৫, ০৬:০৯:২৪

সুরঞ্জিতের হুঁশিয়ারি

সুরঞ্জিতের হুঁশিয়ারি

ঢাকা : জাতীয় সংসদ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় তিনদিনের মধ্যে ক্ষমা না চাইলে টিআইবির বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাবে সরকার বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত। মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) উদ্দেশ্যে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিটি সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু ও তালুকদার মো. ইউনূস। সুরঞ্জিত বলেন, আমি সংসদে গতকাল বলেছি, আজো বলছি- তিনদিন সময় দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে টিআইবি ভুল স্বীকার করে ক্ষমা না চাইলে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যেতে সম্মত হয়েছে কমিটি। টিআইবির সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা সরকারের প্যারালাল হয়েছে, গভর্মেন্ট প্যারালাল হয়ে গেছে। বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন বিল-২০১৫ কমিটিতে রয়েছে, বিলও চূড়ান্ত হয়ে রয়েছে, এখন পাস হবে। তিনি বলেন, বিলে সংশোধনী আসছে। যদি কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বা সরকারের বিরুদ্ধে সাংঘর্ষিক বা অশালীন বক্তব্য দেয়, তাদের বিরুদ্ধেও সরকার যেকোনো সময় যেকোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে। সুরঞ্জিত বলেন, টিআইবি সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংবিধানিক সীমা লঙ্ঘন করেছে। ইফতেখারকে ক্ষমা চাইতে হবে। তা না হলে সরকার চাইলে তাদের (টিআইবি) বাদ দিতে পারবে। তাদের ( ইফতেখারুজ্জামান) রাজনীতি করার খায়েশ থাকলে রাজনৈতিক দলে গিয়ে নাম লেখাক। তিনি বলেন, বিদ্যমান আইনেই টিআইবির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে আমরা প্রয়োগ করি না। আমরা সময় দিয়েছি। এ সময়ের মধ্যে বক্তব্য তুলতে হবে এবং ক্ষমা চাইতে হবে। সুরঞ্জিত বলেন, অন্য এনজিওদের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু টিআইবির সংসদ নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য কেন? টিআইবি যা বলেছে তা অগ্রহণযোগ্য, একদমই অগ্রহণযোগ্য। সংসদ, সংবিধান ও রাষ্ট্র নিয়ে মজা করা বিশ্বের কোনো দেশেই হয় না। এ অধিকার তাদের কেউ দেয়নি। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে বির্তক থাকতে পারে। বিএনপি নির্বাচন করতে পারেনি। কিন্তু তাই বলে সংবিধান, রাষ্ট্র নিয়ে তামাশা করবে- এ অধিকার কেউ কাউকে দেয়নি। ইফতেখারুজ্জামানের উদ্দেশ্যে সুরঞ্জিত বলেন, তুমি কে হে, তুমি কে? তুমি বিদেশ থেকে টাকা এনে চলো। এনজিওদের দেশ সেবা ছাড়া কোনো কাজ নেই। তারা যদি দেশ সেবা করতে চায়, নিবন্ধিত হতে হবে সরকারের অধীনে। তিনি বলেন, সরকার যদি মনে করে তারা থাকবে তাহলে থাকবে, আর যদি অনুমতি না দেয় তাহলে কিছু করার নেই। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা নিয়ে কেউ কথা বললে তার বিরুদ্ধে যেকোনো সময় যেকোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে। সুরঞ্জিত বলেন, তারা সংসদ নিয়ে গবেষণা করবে ভালো কথা, কিন্তু এভাবে অশালীন কথা বলার অধিকার তাকে কে দিয়েছে? কাউকে অপমান করার অধিকার তাদের কেউ দেয়নি। ১০ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে