নিউজ ডেস্ক : দেশে বেকার সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিনিয়োগ-রেমিট্যান্স-রফতানি প্রবাহ বন্ধের কারণে দেশে মহাদুর্যোগ নেমে আসার আশঙ্কা করছে বিএনপি। পরিস্থিতি না বদলালে জনগণের অবস্থা বণ্যপ্রাণীর স্তরে নেমে যাবে এবং ১৯৭৪ সালের মতো দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হবে বলেও দাবি দলটির।
রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আজ গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে- খরচের চাপে সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছেন শহরের মানুষ। ঋণ করে, ধার করে চলছে গ্রামের মানুষ।
অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ক্রমেই মানুষের ক্রয়ক্ষমতা থেকে অনেক দূরে সরে যাওয়ায় সেই চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের আলামত স্পষ্ট হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন এ বিএনপি নেতা। ‘দেশে এখনও তিন কোটি গরিব মানুষ রয়েছে’ বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
সংবাদ সম্মেলনে তার এ কথার সমালোচনা করেন রিজভী। তিনি বলেন, সরকারি পরিসংখ্যান ব্যুরোর রিপোর্টকে অগ্রাহ্য করে অর্থমন্ত্রী বানোয়াট কথা বললেও বাস্তবে এই সংখ্যা অনেক বেশি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ২০ লাখ। এর মধ্যে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা রয়েছে ৩ কোটি ৯৩ লাখ। হতদরিদ্রের সংখ্যা ২ কোটি ৮ লাখ। দিন দিন দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়ছেই।
রিজভী অভিযোগ করেন, সরকারের লোকেরা সমাজের সর্বস্তরে দুর্নীতি ছড়িয়ে দিয়েছে। পাল্লা দিয়ে লুটপাট, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও দখলবাজি চলছে। ফলে দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিরোধী দলের লাখ লাখ নেতাকর্মীর ওপর মিথ্যা মামলার হিড়িক চলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ১/১১-এর সময় ১৫টি মামলা মন্ত্র বলে অদৃশ্য হয়ে যায়। অন্যদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে অভিন্ন মামলাসহ প্রতিনিয়ত মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে নির্মমভাবে।
এমটিনিউজ/এসবি