বুধবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৫, ০২:২৯:১৯

পাঁচ প্রকল্পে অর্থায়নের প্রস্তাব দেবে সরকার

পাঁচ প্রকল্পে অর্থায়নের প্রস্তাব দেবে সরকার

খান এ মামুন: দুই বছর পর বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যে সপ্তম যৌথ কমিশনের সভা বসছে আজ বুধবার। এ বৈঠকে পাঁচ প্রকল্পে অর্থায়নের প্রস্তাব দেবে বাংলাদেশ। এ ছাড়া বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ ও ইইউর মধ্যে এবারের সভায় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন। আর ইইউর পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন জোটের এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউগো অসটোটো। সব মিলিয়ে দুই পক্ষের ৫৫ কর্মকর্তা বৈঠকে অংশ নেবেন। বৈঠকে অর্থ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য, আইন, ইআরডিসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের প্রতিনিধিরা থাকবেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ইআরডি ইউরোপ উইংয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, গ্রাম আদালতের কার্যক্রম সম্প্রসারণ, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা, প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (তিন), জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা এবং জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর করতে দক্ষতা বাড়ানো_ এ পাঁচ প্রকল্পে অর্থায়নের অনুরোধ জানানো হবে। মাল্টিলেভেল ইন্ডিকেটর প্রোগ্রামের (এমআইপি) আওতায় ইইউ বাংলাদেশকে ২০২০ সাল নাগাদ ৬৯ কোটি ইউরো দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে এখনও চূড়ান্ত চুক্তি সই হয়নি। পাঁচটি প্রকল্পে এসব অর্থ খরচ করার কথা ভাবছে সরকার। এ বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। বৈঠকের আলোচ্যসূচি থেকে জানা গেছে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) বাস্তবায়ন এবং সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ইইউর কাছে আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা চাওয়া হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশ যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি, সে বিষয়েও আলোচনার একটি অংশ রাখা হয়েছে। জানা গেছে, প্রতি দুই বছর পর বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে যৌথ কমিশনের সভা হওয়ার নিয়ম রয়েছে। ২০১২ সালে ব্রাসেলসে দুই পক্ষের মধ্যে সর্বশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আজকের সভায় তিনটি আলোচ্যসূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমেই আছে সুশাসন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও অভিবাসন। দ্বিতীয় অধ্যায়ে আছে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা। আর তৃতীয় অধ্যায়ে আছে দু'পক্ষের মধ্যে উন্নয়ন সহযোগিতা। বৈঠকে বড় একটি অংশজুড়ে থাকবে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রসঙ্গ। বাংলাদেশের অন্যতম রফতানির বাজার ইইউভুক্ত দেশগুলো। সেসব দেশে মূলত পোশাক, হিমায়িত খাদ্য ও চামড়া জাতীয় পণ্য রফতানি করা হয়। রফতানি আরও কীভাবে বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে দু'পক্ষের মধ্যে কর্মকৌশল নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। ইইউর নতুন বাণিজ্য কৌশল, বাংলাদেশের শ্রম আইন, ট্রেড ইউনিয়ন, পোশাক কারখানায় কর্মপরিবেশ, সেবা খাতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই), বাংলাদেশ থেকে জাহাজ রফতানি বিষয়ে সভায় আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে চলমান ২৩টি প্রকল্পের সর্বশেষ অগ্রগতির বিষয়ে তুলে ধরা হবে সভায়। যৌথ কমিশনের সভা শেষে দু'পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ারও কথা রয়েছে।-সমকাল ১১ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/পিবি/পিপি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে