বুধবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৫, ০৭:৩২:২৩

বিচারপতিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

 বিচারপতিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

নিউজ ডেস্ক : জঙ্গি মামলায় গ্রেফতারকৃতদের জামিন দেয়ার বিষয়ে বিচারপতিদের আরো কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার বিকেলে দশম সংসদের অষ্টম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে কামাল আহমেদ মজুমদারের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, অনেক সময় আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ মাসের পর মাস দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। অনেক টাকা খরচ হয় জঙ্গিদের তথ্য বের করতে। এরপর তাদের গ্রেফতার করে। তিনি বলেন, গ্রেফতার করার পর হয়তো সে অস্ত্র, বিস্ফোরক বা খুনের মামলার আসামি হয়। ৬ মাস ১ বছর চেষ্টা করে এদের খুঁজে বের করে গ্রেফতার করল, এরপর দেখা যায় ১৫ দিনের মধ্যে জামিন পেয়ে আবার বহাল তবিয়তে চলে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা সত্যিই খুব দুর্ভাগ্যের। তাদের পক্ষে একজন আইনজীবী থাকবে এটা স্বাভাবিক। বিচারক বিচার করবেন। আমাদের বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন। স্বাধীন বলেই তারা এভাবে জামিন দিতে পারছেন। তিনি বলেন, আমিও সংসদ সদস্যের মতো আহ্বান জানাব, জামিন যখন দিচ্ছেন তখন অন্তত তারা যে দোষটা করেছে, যেসব অপরাধ করেছে অন্ততপক্ষে সে অপরাধের মাত্রাটা সম্পর্কে একটু যদি চিন্তা করে এরপর জামিনের ব্যবস্থা করেন, তাহলেই কিন্তু হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জামিন দেয়া থেকে বিরত থেকে তাদের সাজাটা যেন নিশ্চিত হয় বা এদের বিচারকার্য যাতে পরিচালিত হয়, সেদিকে যদি বিচারকগণ একটু বেশি মনোনিবেশ করেন তাহলে কিন্তু দেশকে ক্রাইমের হাত থেকে বাঁচানো যায়। সত্যি খুব দুঃখজনক, ৬ মাস বা ১ বছরের প্রচেষ্টা ১৫ দিনের মধ্যেই শেষ। তিনি বলেন, আমাদের তো আর কিছু করার থাকে না। পুলিশইবা কত করবে? তারা তো ধরছে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ধরছে। এভাবে তাদের জামিন দিয়ে দেয়া হচ্ছে। এ জন্য জনমত সৃষ্টি হওয়া দরকার। শেখ হাসিনা বলেন, দেশে সন্ত্রাস দমন আইন আছে। সেখানে দেখা যায়, সন্ত্রাসীরা নানা অজুহাতে বেরিয়ে যাচ্ছে। এ রকম যেন না হয় সে ব্যাপারে বিচার বিভাগের প্রতি অনুরোধ থাকবে। এ ব্যাপারে আরেকটু সচেতন হন। তিনি বলেন, দোষ সব আমাদের ওপর আসে। বিচার না পেলে সরকারের দোষ। কিন্তু যখন জামিন পেয়ে যায়, তখন কাকে দোষ দেবেন? সে দোষও আসে সরকারের ওপর। আগামীতে আরো কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ১১ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে