বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৫, ০৭:৫৮:১২

বিশ্ব মিডিয়ায় তোলপাড়, কে এই অনুপ চেটিয়া?

বিশ্ব মিডিয়ায় তোলপাড়, কে এই অনুপ চেটিয়া?

নিউজ ডেস্ক : অনুপ চেটিয়াকে নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না। দুই দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নানা দিক থেকে অনুপ চেটিয়াকে ভারতে ফেরত দেয়ার বিষয়টি বিশ্লেষণ করছেন।বুধবার থেকে অনুপ চেটিয়ার ভারতে ফেরত যাওয়ার বিষয়টি বিশ্ব মিডিয়ায় গুরুত্বের সাথে প্রচার করছে।বিবিসি, সিএনএনসহ অন্য গুরুত্বপূর্ণ মিডিয়াগুলো এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই সাথে এ নিয়ে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপের কারণে বিষয়টি আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। স্বাভাবিক কারণেই জাগে, কে এই অনুপ চেটিয়া? আসলে তাঁর নাম গোলাপ বরুয়া। কিন্তু, অনুপ চেটিয়া নামেই তিনি বেশি পরিচিত।আরও নাম আছে অনুপের।কখনও তিনি সুনীল বরুয়া, কখনও ভাইজান, আবার কোথাও কোথাও তাঁকে লোকে আহমদ বলেও চেনে। বুধবার ৪৮ বছরের সেই অনুপকে ভারতের হাতে তুলে দিল বাংলাদেশ সরকার। আসামের তিনসুকিয়ার জেরাইগাঁওতে ১৯৬৭তে জন্ম অনুপের। ১৯৭৯ সালের ৭ এপ্রিল ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট আসাম (উলফা) গঠিত হয়। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন অনুপ চেটিয়া। একাধিক অপরাধমূলক কাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে চেটিয়ার বিরুদ্ধে ভারতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। অপহরণ, সন্ত্রাস চালানো, চাঁদাবাজি ছাড়াও তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে। এর পর ১৯৯১-এ তাঁকে প্রথম বার গ্রেফতার করে আসাম সরকার।পরে নব্বইয়ের দশকের শুরুতে তিনি বাংলাদেশ পালিয়ে যান।১৯৯৭ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকার মোহাম্মদপুর তাজমহল রোডের একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশ পুলিশ। তার কাছ থেকে ভুয়া বাংলাদেশি পাসপোর্ট, স্যাটেলাইট টেলিফোন এবং প্রায় ১৬টি দেশের বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। ১৯৯৮-এর ১ জানুয়ারি তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ বিদেশি মুদ্রা আইনে একটি মামলা দায়ের করে।পরে পাসপোর্ট আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেও তিনটি মামলা দায়ের করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে।এ সব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে জরিমানাসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। সাজার মেয়াদ শেষ হলেও অনুপকে মুক্তি না দেওয়ার জন্য তাঁর হয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে বাংলাদেশের একটি মানবাধিকার সংস্থা। রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন করা হয়।সেই আবেদন মেনে এতদিন বাংলাদেশেই ছিলেন অনুপ।তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনায় শান্তি প্রক্রিয়ার একটা অধ্যায় ফের শুরু হল বলে মনে করছেন সেখানকার রাজনৈতিক শিবিরের একটা অংশ। ১২ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে