বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৫, ১০:৪৪:৪৫

ভাইবার-অ্যাপস বন্ধ প্রসঙ্গে যা বললেন সাখাওয়াত

ভাইবার-অ্যাপস বন্ধ প্রসঙ্গে যা বললেন সাখাওয়াত

ঢাকা : নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ভাইবার বা হোয়াটসঅ্যাপের মত প্রযুক্তি বন্ধ করে জঙ্গি বা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ করা সম্ভব নয়। তিনি মনে করেন, এই ধরনের প্রযুক্তি বাইরের দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় বেশি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু যারা মোটিভেটেড হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে, তারা ঠিকই অন্য সংকেত বের করে নিবে। গতকাল বুধবার সংসদে প্রশ্নত্তোর পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সাইবার অপরাধ বন্ধ করতে এবং সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের ধরতে প্রয়োজনে সাময়িকভাবে ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপের মত মোবাইল ফোন অ্যাপসগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। ভাইবার বা হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করে সন্ত্রাস মোকাবেলার বিষয়ে বিবিসি বাংলা-কে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘অনেক সময় এসব মাধ্যমে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ হয়ে থাকে। কিন্তু এগুলো বন্ধ করলেই যে জঙ্গিবাদ বন্ধ হয়ে যাবে বা টেররিজম বন্ধ হয়ে যাবে তেমন নজির কিন্তু নেই।’ উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘অনেক দেশেই এগুলো বন্ধ করা হয়েছে। যেমন: পাকিস্তানে ফেসবুক থেকে শুরু করে সবকিছুই সাসপেন্ডেড আছে। কিন্তু সেখানে কিন্তু এগুলো করা যায় না। যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডে লিপ্ত তারা কিন্তু বিভিন্ন ধরনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে থাকে।’ এছাড়া বিষয়টি দেশের বাইরে নেতিবাচক একটি বার্তা দিতে পারে বলেও মনে করেন সাখাওয়াত হোসেন। সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এ পর্যন্ত আমরা বলেছি, আমাদের দেশে জঙ্গি তৎপরতা নেই। কিন্তু এখন ভাইবার বা হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করা হলে এমন সংকেত যেতে পারে যে, উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন সংগঠন বাংলাদেশে কাজ করছে।’ তিনি বলেন, ‘এগুলো বন্ধ করা হলে সামাজিক যোগাযোগে সাধারণ মানুষের ওপর প্রভাব ফেলবে। কিন্তু যারা মোটিভেটেড হয়ে বিভিন্ন অপরাধ করছে, তারা অন্য কোনো উপায় খুঁজে নেবে।’ আর বাংলাদেশে যেসব ঘটনা বা হত্যাকাণ্ড ঘটছে তা যে সব সময় প্রযুক্তি ব্যবহার করেই ঘটছে তেমনটা মনে করেন না এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক। তিনি বলেন, ‘অনেক সময় এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা সাংকেতিকভাবে বা পত্র মারফত যোগাযোগ রাখছে।’ এই ধরনের অপরাধীদের মোকাবেলায় বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে থাকা প্রযুক্তি বা দক্ষতা ‘খুবই অপ্রতুল’ বলেও জানান সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, ‘যেভাবে ঘটনাগুলো ঘটছে তার পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোটেই প্রস্তুত নন। তাদের তেমন প্রশিক্ষণও নেই।’ ১২ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে